রংপুরের ঠাকুরপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুপল্লী পরিদর্শন করলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
রংপুর প্রবিনিধি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আর রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় সংঘটিত বর্বরোচিত ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। যারা ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, মন্দির পুড়িয়েছে, মালামাল লুট করেছে, তারা যত বড় প্রতাপশালী আল ক্ষমতাশালীই হোক না কেন সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। এ ঘটনার মঞ্চে যারা ছিল এবং ইন্ধনদাতা-হুকুমদাতা সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।’
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি ঠাকুরপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং সাহায্যের আশ্বাস দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অপকর্ম করে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এসব করে কোনও লাভ হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছিলাম, আমরা আছি। প্রত্যেককে বাড়িঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে, মন্দির মেরামতের কাজ চলছে। আজও প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
এ সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হকসহ অন্য নেতাকর্মীরা।