রোগ-বালাই ঠেকাতে ফল-মূল ও সবজি জুস
রকমারি ডেস্ক:
তাজা ফল-মূল ও সবজি থেকে তৈরি জুস নিয়মিত পানে আপনি ওজন কমানোর পাশাপাশি অসংখ্য রোগ-বালাই থেকেও রক্ষা পাবেন। তাজা ফল-মূল ও সবজি থেকে তৈরি জুস আপনাকে কী কী রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে তার একটি তালিকা এখানে দেওয়া হল-
১. শরীরকে বিষমুক্তকরন, চর্মরোগ ও দাতের ক্ষয়রোধে গম ঘাসের জুস খুবই উপকারী। গম ঘাসে ভিটামিন এ, বি, সি এবং অসংখ্য খনিজ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই রোগগুলো প্রতিরোধে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর সবই কার্যকর ভুমিকা রাখবে।
২. রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পেতে বাধাকপি, গাজর, শাক, আখ বা পালং শাকের জুস খুবই কার্যকরী।
৩. ক্ষুধামান্দ্য থেকে মুক্তি পেতে গাজরের জুসের সাথে পানি মিশিয়ে খেয়ে নিন। অথবা বড় গ্লাসভর্তি মাঠা বা ঠান্ডা ঘোল পান করুন।
৪. আথ্রাইটিস প্রতিরোধে সমপরিমাণ গাজর, শাক ও আখের রসের মিশ্রণে তৈরি জুস নিয়মিত পান করুন। এছাড়া আপনি এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে প্রতিদিন আধা গ্লাস করে আলুর জুসও পান করতে পারেন।
৫. এ্যাজমা থেকে মুক্ত থাকতে প্রতিদিন লেবুর জুস ও মধুর সাথে এক গ্লাস পানি পান করুন।
৬. অন্ত্রের সিরোসিস রোধে আপনার প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় আপেল, নাশপাতি ও আনারসের জুস যুক্ত করুন।
৭. মলাশয়ের প্রদাহরোধে সিদ্ধপানিতে তৈরি এক বা একাধিক গ্লাস পেপে জুস পান করুন।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পালং শাকের পাতা থেকে তৈরি এক গ্লাস জুস বা একবাটি স্যুপ পান করুন। এছাড়া নিয়মিত একটি করে পেয়ারা বা নাশপাতি ভক্ষণ করুন।
৯. মূত্রাশয়ের ইনফেকশন রোধে নিয়মিত আপেল, নাশপাতি, আক্সগুর ও নারকেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১০. ডায়াবেটিসরোধে সবুজ শাক, শসা, পেঁয়াজ, রসুন ও করলা জুস পান করুন।
১১. ডায়রিয়া উপশমে সূস্বাদু কিছু কমলা থেকে জুস তৈরি করে পান করুন। অথবা এক বাটি গাজরের স্যুপ ও প্রচুর পরিমাণ ডালিম দানা খান।
১২. চুলপড়া ঠেকাতে পালং শাকের জুসের সঙ্গে লেটুস পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
১৩. ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্ততা থেকে মুক্ত থাকতে আখ, গাজর ও শসার রসের মিশ্রণে তৈরি জুস পান করুন।
১৪. হৃদরোগ প্রতিরোধে পানির সাথে কিছুটা মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন। অথবা আমলার জুস পান করুন। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খান।
১৫. উচ্চ রক্তচাপ থেকে রেহাই পেতে আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে রসুন রাখুন। এছাড়া তরমুজ, আমলা ও শসা জুস পান করতে পারেন।
১৬. রক্তের নিুচাপ ঠেকাতে আখের জুস পান করুন।
১৭. বদহজম থেকে বাঁচতে দুটি সুস্বাদু ফল- আনারস ও লেবুর জুস নিয়মিত পান করুন।