আন্তর্জাতিক

লন্ডনে আইএসআইএস!

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এবার লন্ডনের রাস্তায় দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) কট্টর ইসলামপন্থি বিদ্রোহীরা তাদের মতাদর্শের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করেছে। এই প্রচারপত্রে ব্রিটেনের মুসলিমদের সে দেশ ত্যাগ করে আইএসআইএস গ্রুপে যোগদান করতে বলেছে। বুধবার মধ্য লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটে ক্রেতাদের হাতে এই প্রচারপত্র (লিফলেট) ধরিয়ে দেওয়া হয়। আলআরাবিয়া অনলাইন দ্য মেইলকে উদ্ধৃত করে জানায়, মধ্য লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটে লাগানো ‘নতুন যুগের শুরু হয়েছে’ স্লোগান লেখা পোস্টারের সামনে দাঁড়ালে আইএসআইএস সমর্থনে প্রচারপত্র দেওয়া হয়। একটি প্রচারপত্রে লেখা হয়েছে, খেলাফত ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্য আরেকটি প্রচারপত্রে লেখা, ‘আমরা অজ্ঞতার রাজ্যে বসবাস করছি। আমাদের বাসভূমি আলাদা, আমাদের সম্পদ চুরি হয়েছে, উম্মাহ সংঘবদ্ধ নয়, সম্মান ভূলুণ্ঠিত, আইনের অপশাসন আমাদের গ্রাস করেছে।’ প্রচারপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘সারা বিশ্বের মুসলমানদের অনেক বড় দায়িত্ব পালন করার আছে। সারা বিশ্বে খেলাফত কায়েমের জন্য বিশ্বের মুসলমানদের অনেক কিছু করার রয়েছে।’ প্রচারপত্রে আইএসআইএসের সমর্থকদের সাতটি নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়। এ ছাড়া খেলাফত, শরিয়া আইন মেনে চলাসহ যুক্তরাজ্যে খেলাফত কায়েমের ডাক দেওয়া হয়। এদিকে, অ্যান্টি-এক্সট্রিমিজম ফাউন্ডেশন কুইলামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গফ্ফার হুসাইন বলেন, এ ধরনের প্রচারপত্র হস্তান্তর করা আইনের স্পষ্টত লঙ্ঘন। এ বিষয়ে লন্ডন মেটের এক মুখপাখ বলেন, এ বিষয়ে এমপিরা সচেতন রয়েছেন। তিনি জানান, প্রচারপত্র (লিফলেট) আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। দেখছি, এতে কোনো ধরনের অপরাধমূলক তথ্য আছে কিনা। এরপরে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এ বছরের ৮ জুলাই ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করার মাধ্যমে আল-কায়েদা সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উত্থান হয়। এরপর সিরিয়ার বড় একটি গ্যাস ক্ষেত্র দখল করে নিয়ে নিজেদের ‘দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) বাহিনী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। মসুল শহর দখল করার পর আইএসআইএস বিদ্রোহী গোষ্ঠী শিয়াদের বড় মসজিদ বুলডোজার ও বোমা মেরে মাটিতে গুঁড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া অন্য ধর্মালম্বী লোকদের ‘হয় মুসলিম হও, নয় মৃত্যুর মুখোমুখি হও’ ও ট্যাক্স দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।  এই হুমকির পর অন্যান্য ছোট ছোট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজন বিশেষ করে ইয়াজদি সম্প্রদায়, যাদের ধর্মের বয়স পাঁচ হাজার, তারা পালাতে শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version