যশোর: শার্শায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝর্ণা খাতুন(৩০) নামে দুই সন্তানের মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
গত ১০/১২ বছর আগে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ঝর্ণা খাতুনের বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের সঙ্গে। তাদের সংসার জীবনে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স ৭/৮ বছর।
ফারুক পেশায় গরু ব্যবসায়ী। প্রথমে তাদের সংসার জীবন ভালো চললেও গত কয়েকবছর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। তারই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে ঝর্ণাকে মারধর করেন তার স্বামী ফারুক। পরে সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝর্ণার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
গৃহবধূর ভাই তরিকুল অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে যখন ফারুকের সঙ্গে বিয়ে দেই তখন তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না। গত কয়েকবছর ধরে আমার বোনের জামাই যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় আমার বোনকে মারধর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো। বোনের সুখের কথা ভেবে আমরা কয়েকবারে ফারুককে অনেক টাকা দিয়েছি।
কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে আমার বোনজামাই ফারুক আবার আমাদের কাছে যৌতুকের আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। যে টাকা না দিতে পারায় প্রায় আমার বোনের উপর চালাতো অত্যাচার নির্যাতন। আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে পিটিয়ে হত্যা করে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং লাশটি উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।