শাহজাদপুরে বিনা নোটিশে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ফুঁসে উঠছে গ্রাহকরা
মো. মামুন বিশ্বাস, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ:
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি বাঘাবাড়ি আঞ্চলিক শাখার আওতাধীন এলাকা শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিনা নোটিশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে গ্রাহক ভোগান্তি। ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে গ্রাহকরা। জানা যায়, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই রমজান মাস থেকে শুরু হয়েছে সংযোগ বিচ্ছিন্নের কাজ।
গ্যাস অফিস সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে ৩/৪” পাইপের ও ৫০ মিটারের উর্ধ্বে যে সমস্ত সংযোগ দেয়া হয়েছিলো সেগুলো এখন বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা কেউ কেউ ৪/৫ বছর পূর্বে সংযোগ নিয়েছে। তারা অফিসিয়াল নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করার পর ঠিকাদার এবং অফিস কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে ড্রইং করে ডিমান্ড নোট ইস্যু করলে টাকা জমা দেয়। তারপর সংযোগ প্রদান করা হয়। এ যাবৎকাল পর্যন্ত তারা নিয়মিত বিলও পরিশোধ করে আসছিল। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে তাদের সংযোগ অবৈধ হয় কিভাবে? আর যদি অবৈধ হয় তাহলে ৪/৫ বছর কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ ছিলো কেন? এখন হঠাৎ করে কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই সংযোগও বা বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে কেন?
গ্রাহকরা জানায়, সংযোগ যদি অবৈধ হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ তা প্রদান করল কেন? অবৈধ কোন কিছু করে থাকলে সাবেক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এবং সার্ভেয়ারের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার করেছে। শাস্তি পেতে হলে তারা পাবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। তাদের দুর্নীতির খেসারত আমরা কেন দিবো? এ ব্যাপারে সাবেক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এখন অবৈধ গ্রাহকদের কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে তারা বৈধ হবে। এই প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন যে ডিমান্ড নোট ইস্যু করে টাকা জমা দিয়ে লাইন নেয়া কি অবৈধ ছিল তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নাই ।
এদিকে বিনা নোটিশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ক্ষোভে ফেটে উঠেছে গ্রাহকরা। আর এ থেকে যে কোন সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। তাই অবিলম্বে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বন্ধ করে, যে সমস্ত সংযোগ ইতোমধ্যে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, গ্রাহকের ভোগান্তিরোধে তা দ্রুত প্রদান করার জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।