শাহজাদপুর বন্যায় গো-খাদ্যের তীব্র্র সঙ্কট
মামুন বিশ্বাস, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ:
দেশের নিউজিল্যান্ডখ্যাত জনপদ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর দুগ্ধসমৃদ্ধ জনপদে বন্যায় গো-খাদ্যের তীব্র্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র শাহজাদপুর উপজেলায়ই গবাদীপশুর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭’শ ৮৫টি। দেশে প্রতিদিন উৎপাদিত মোট গরুর খাঁটি দুধের চাহিদার সিংহভাগই শাহজাদপুরের বাথান এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। উপজেলার মাঠ-ঘাট ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এছাড়া এ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কৃষকের মজুত করা খড়ের গাদা জলমগ্ন হওয়ায় খড় পচে নষ্ট হচ্ছে। গত ১৫ দিন ধরে মাঠ পানির নিচে তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্যের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে গো-খাদ্য সঙ্কটে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করায় শুকনা খড়কুটো চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, সম্প্রতি বয়ে যাওয়া বন্যায় আমন বীজ, ইরি, বোরো ফসলসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পানির নিচে থাকার কারণে মাঠের ঘাস পচে যাওয়ায় এ অঞ্চলে ঘাস ও খড়ের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা তাদের গবাদি পশু মাঠে চড়াতে না পেরে দিনভর সড়কের ঘাসের ওপর নির্ভর করছেন। এতে গবাদি পশু পর্যাপ্ত ঘাস না পাওয়ায় পশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। উপজেলার রতকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিন জানান, মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় গবাদি পশু সড়কের আশপাশে বেঁধে খাদ্য সঙ্কট কাটানোর চেষ্টা করলেও পর্যাপ্ত ঘাস মিলছে না। অন্যদিকে শুকনো খড়ের গাদায়ও পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে। কৃষকরা চড়া দামেও গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না। এছাড়া বাজারে ধানের কুঁড়া, ভুষি, তিলের খৈলসহ বিভিন্ন গো-খাদ্য আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে গবাদি পশুর খাদ্য নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছে। এতে পশু নানা রকম পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সঙ্কটে গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।