শিকাগোতে জিয়ার নামে সড়ক উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জিয়াউর রহমানের নামে একটি সড়কের নামফলক উন্মোচন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শহরের নর্থ ক্লার্ক এভিনিউর ওয়েস্ট র্প্যাট বুলেভার্ডের ৬৮০০ এন ক্লার্ক থেকে ওয়েস্ট আলবিয়নের ৬৬০০ এন ক্লার্ক পর্যন্ত অংশের নতুন নাম হয়েছে অনারারি জিয়াউর রহমান ওয়ে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী, জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ উপদেষ্টা হুমায়ূন কবীর এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে রোববার বিকালে ওই সড়কের নামফলক উন্মোচন করা হয়।
শিকাগোর সিটি মেয়র, ইলিনয় রাজ্য গভর্নরসহ কয়েকজন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হলেও কাউন্সিলম্যান জোসেফ ম্যুর ছাড়া আর কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। জোসেফ ম্যুরই সিটি কাউন্সিলে জিয়ার নামে সড়কের নামকরণের প্রস্তাবটি তোলেন। এসব ক্ষেত্রে মেয়রের পক্ষ থেকে নামকরণের একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র দেয়ার রীতি থাকলেও এক্ষেত্রে তা হয়নি। নামফলকের নিচে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনের সময় জাসাস নেতা কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনসহ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৭ সালের ১০ অক্টোবর শিকাগো শহরের ডেভন এভিনিউর একটি অংশকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শেখ মুজিব ওয়ে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশি স্থপতি এফ আর খানের নামে আরেকটি সড়কের নাম রাখা হয় এফ আর খান ওয়ে। ওই সময় থেকেই বিএনপির প্রবাসী নেতা-কর্মীরা জিয়াউর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণের জন্য নগর কর্তৃপক্ষের কাছে জন্য দেন-দরবার শুরু করেন। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় গত ২৮ মে সিটির ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার জোসেফ ম্যুরের উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় অনারারি জিয়াউর রহমান ওয়ে নামকরণের প্রস্তাবটি পাস হয়। ওই খবর প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সিটি মেয়রের দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে ই-মেইল পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত বদলানোর অনুরোধ জানায় তারা।
আওয়ামী লীগ কর্মীরা গত ১৪ সেপ্টেম্বর শিকাগো সিটি মেয়র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও করেন। তাদের অভিযোগ ছিল, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে কর্নেল তাহেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। সহস্রাধিক সামরিক কর্মকর্তাকেও হত্যা করা হয়েছে। জিয়ার নামে ওই নামফলক নামিয়ে ফেলার দাবিতে আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা।