শিক্ষক ছাড়াই চলছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার:
পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, তারপরও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্র ভর্তি করাচ্ছে। কার স্বার্থে এবং কেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে তা ভেবে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হোসেন। গতকাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষা পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের নির্ধারিত প্যানেল বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা ১ হাজার ছাত্র ভর্তি করাচ্ছে। কিন্তু সেখানে দেখা যাবে মাত্র ১/২ জন অধ্যাপক রয়েছে। এভাবে চলতে পারে না, কিন্তু চলছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়কে আগে কলেজ হিসেবে অনুমোদন দেওয়া উচিৎ, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়।” অনেকে ব্যবসা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিচ্ছে। ব্যবসা করাই যদি প্রধান উদ্দেশ্য হয় তাহলে সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না বলেও মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। তিনি বলেন, শুধু প্রাইভেট নয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও এখন খুব ভালো নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ভালো না হওয়ায় তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন কাজ করছেন। ফলে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকমত ক্লাস হয় না। তিনি বলেন, বুয়েটে ভালো শিক্ষক রয়েছে। কিন্তু তাদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যথেষ্ট নয়। এসব বিষয়ে ভাববার সময় এসেছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রকৌশল শিক্ষায় উন্নতি করতে না পারলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সাবেক অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে মানসম্মত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পরিবর্তন প্রয়োজন। এখানে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ঢাকা ইউনিভার্সিসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারং অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানে শিক্ষকদের ৬ গুণ বেতন দেওয়া হয়। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষক বিদেশ চলে যাচ্ছে, অনেকে কনসালটেন্সি করছেন, শিক্ষকদের বেতন না বাড়ালে দুর্ভোগ পিছু ছাড়বে না।