শোক দিবসে নাটোর কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর শহরের একটি কলেজে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সকালে নাটোর এনএস সরকারি কলেজে এঘটনার সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অস্ত্রের মহড়া, গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার পরে কলেজের মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নাটোর-২ (সদর) আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহাদ আলী সরকার গাড়ি নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এসময় মিলনায়তনের কাছাকাছি মসজিদের সামনের রাস্তায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বুলবুল হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগকর্মী রাকিবুল হাসান ওরফে জেমসের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় রাকিবুলের গায়ের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায় এবং বুলবুলের হাতে আঘাত লাগে। তখন অভ্যাগত নেতৃবৃন্দ গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত মিলনায়তনের ভেতরে ঢোকেন। তখন বাইরে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। এসময় পর দু’টি গুলির শব্দ শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে মিলনায়তনে শোক দিবসের অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও কিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন। এবিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বুলবুল হোসেন বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে কলেজে রাজনীতি করে আসছি। অথচ কিছু কিছু নেতৃবৃন্দের আশ্রয় প্রশ্রয়ে নবাগত কিছু ছেলে নেতা হওয়ার জন্য অপতৎপরতা শুরু করেছে। “তারাই গণ্ডগোল বাধিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করতে চেয়েছিল। তবে অনুষ্ঠানের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। আমার কোনো ছেলের হাতে অস্ত্রপাতি ছিল না বা কেউ গুলিও করেনি।” ছাত্রলীগকর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, “বড় ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার ছেলেরা শান্ত ছিল।” এবিষয়ে নাটোর সদর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, “কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।” ঘটনার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের মতামত জানতে কয়েকবার তার মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।