Connecting You with the Truth

সত্যিই কি আমি অভিজিৎ হত্যার বিচার পাবো?

ajoy_roy
অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।

বিডিপি ডেস্ক: গত এক বছর ধরে ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে অভিজিৎ রায়ের বাবা এখন ক্লান্ত। ছেলের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে সেটি জানতে তিনি বার বার গিয়েছেন গোয়েন্দা অফিসে। কিন্তু বিচার নিয়ে আশাবাদী হবার মতো কোন উত্তর পাননি অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।
গতবছর বইমেলার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাতের বেলায় শতশত মানুষের সামনে অভিজিৎ রায়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারা হয়।এসময় অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। ঢাকায় তার বাসায় বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাতকারে অধ্যাপক অজয় রায় বলেন একজন ক্ষতিগ্রস্ত পিতা হিসেবে বিচার নিয়ে তার আশার জায়গা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, “ সত্যিই কি আমি অভিজিৎ হত্যার বিচার পাবো? আমাদের দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, এটা বিপদজনক। ” তিনি বলেন, তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছেনা।
সেজন্য তদন্তকারীদের অফিসে গিয়ে অধ্যাপক রায় আর কোন খোঁজ-খবর করেননা। এমন প্রেক্ষাপটে অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন। অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হবার পেছনে দুটো কারণ থাকতে পারে। হয়তো তদন্তের বিষয়ে তদন্তকারীদের অনীহা রয়েছে, নতুবা তদন্ত কাজে তারা অদক্ষ।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্দেহবশত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা এখনো প্রমাণিত নয়। তদন্তকারীরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন যে, তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। এক বছর পার হলেও এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে সরকারের দিক থেকেও আশার বানী শোনানো হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলছেন অভিজিৎসহ অন্যান্য ব্লগার, প্রকাশক হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু এতে ‘খানিকটা সময় লাগাছে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ অভিজিৎ হত্যাকারীরা রেহাই পাবেনা। কারণ এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের বিভিন্ন সময় সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ”
পুলিশ বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, আনসার-উল্লাহ বাংলা টিম নামের গোপন একটি উগ্রপন্থী সংগঠন লেখক, প্রকাশক এবং ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুই বছরে পাঁচজন ব্লগার এবং একজন প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্লগার আহমদে রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়েছে নিম্ন আদালতে। বাকি হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার এখনো অনিশ্চিত। বিবিসি বাংলা।

Comments
Loading...