Connect with us

খেলাধুলা

সবার উপরে সুয়ারেজ

Avatar photo

Published

on

s-10
স্পোর্টস ডেস্ক:
গত কয়েক মাসের জল্পনা-কল্পনার অবসার ঘটিয়ে ২০১৪ সালের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে গেছে। গত মৌসুমে টটেনহ্যাম থেকে রেকর্ড ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে গ্যারেথ বেলের রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের বিষয়টি যদিও এবার কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি তবে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বাঁধা এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে দুইবার পার হয়েছে। আরেকটি বিষয় এবার লক্ষ্যনীয় বৃটিশ ট্রান্সফার মার্কেটকে এবার ছাপিয়ে গেছে স্প্যানিশ বাজার। বিশ্বকাপের বিতর্কিত খেলোয়াড় লুইস সুয়ারেজকে দলে নিয়ে এবার এই তালিকার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। বিশ্বকাপে অনাকাঙ্খিত এক ঘটনার জন্ম দিয়ে সুয়ারেজ হয়তবা নিজ দেশ উরুগুয়ে এবং একই সাথে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য খুব একটা ভাল কিছু উপহার দিতে পারেননি। কিন্তু তাকে দলে নিতে মুখিয়ে থাকা বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলো কিন্তু মোটেই এই ঘটনায় পিছপা হয়নি। লিভারপুল থেকে ঠিকই তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। একইসাথে ৮৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এই স্ট্রাইকারকে দলে ভিড়িয়ে স্প্যানিশ ট্রান্সফার মার্কেটে রেকর্ডও গড়েছে কাতালান জায়ান্টরা। যদিও বার্সেলোনার এই রেকর্ডে চুপ করে বসে থাকেনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বকাপের তারকা হামেস রদ্রিগেজকে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকো থেকে দলে নিয়ে তারা কাতালানদের সাথে সমানতালে লড়াই করেছে। বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করে গোল্ডেন বুট পাওয়া এই তরুণের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ ক্লাবগুলোও বেশ আগ্রহ দেখিয়েছিল। মজার বিষয় হচ্ছে শীর্ষ দশের তালিকায় এই একটি মাত্র ট্রান্সফারের সাথে প্রিমিয়ার লীগের কোন ক্লাব জড়িত নয়। ট্রান্সফার উইন্ডোর একেবারে শেষ পর্যায়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আর্জেন্টাইন তারকা এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দলে নিয়ে দারুন এক আকর্ষন সৃষ্টি করেছে। ডেভিড লুইজকে চেলসিতে ধরে রাখতে হোসে মরিনহো খুব একটা আগ্রহ না দেখালেও প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই তাদের ক্লাব রেকর্ড ৪৯.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে দলে নিয়ে একটুও ভুল করেনি বলেই দাবী জানিয়েছে। পোর্তো থেকে এলিয়াবুইম মানগালাকে দলে নিতে প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ব্যয় করেছে ৪৪.৫ মিলিয়ন ইউরো যা দলবদলের এবার তাদের সর্বোচ্চ ব্যয়। চেলসি অবশ্য এই দৌড়ে এগিয়ে থাকতে কিছুটা সময় ব্যয় করেছে। তবে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ থেকে দিয়েগো কস্তাকে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে নিয়ে আসায় তারা যে খুব একটা ভুল করেনি তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। স্প্যানিশ এই তারকাকে দলে নিতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৪৪ মিলিয়ন ইউরো। বার্সেলোনা থেকে ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আর্সেনালে আসা এ্যালেক্সিস সানচেজের স্থান এই তালিকায় সপ্তম। সাউদাম্পটন থেকে ৩৭.৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে নিয়েছে তরুণ স্ট্রাইকার লুক শ’কে। ক্লাব ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন শ। তার নতুন ইউনাইটেড সতীর্থ এ্যান্ডার হেরেরা রয়েছেন নবম স্থানে। এ্যাথলেটিকো বিলবাও থেকে এই মিডফিল্ডারকে দলে নিতে ইউনাইটেডকে ৩৬.৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করতে হয়েছে। দশম স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা থেকে ৩৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চেলসিতে আসা সেস ফ্যাব্রেগাস। অল্প কিছু ব্যবধানে এই তালিকায় স্থান করে নিতে পারেনি আরো কিছু উল্লেখযোগ্য ট্রান্সফার। এর মধ্যে রয়েছে টনি ক্রুস এবং এন্টোনিও গ্রিয়েজমান। এই দু’জনের ২৫ মিলিন ইউরোর বিনিময়ে যথাক্রমে রিয়াল ও এ্যাথলেটিকোতে যোগ দিয়েছেন।

গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে শীর্ষ ১০ মূল্যবান খেলোয়াড়ের তালিকা :
নং খেলোয়াড় সাবেক ক্লাব বর্তমান ক্লাব ট্রান্সফার ফি
১ লুইস সুয়ারেজ লিভারপুল বার্সেলোনা ৮৮ মিলিয়ন ইউরো
২ হামেস রদ্রিগেজ মোনাকো রিয়াল মাদ্রিদ ৮০ মিলিয়ন ইউরো
৩ এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া রিয়াল মাদ্রিদ ম্যান ইউ ৭৫ মিলিয়ন ইউরো
৪ ডেভিড লুইজ চেলসি পিএসজি ৪৯.৫ মিলিয়ন ইউরো
৫ এলিয়াকুইম মানগালা পোর্তো ম্যান সিটি ৪৪.৫ মিলিয়ন ইউরো
৬ দিয়েগো কস্তা এ্যাথ. মাদ্রিদ চেলসি ৪৪ মিলিয়ন ইউরো
৭ এ্যালেক্সিস সানচেজ বার্সেলোনা আর্সেনাল ৪০ মিলিয়ন ইউরো
৮ লুক শ সাউদাম্পটন ম্যান ইউ ৩৭.৮ মিলিয়ন ইউরো
৯ এ্যান্ডার হেরেরা এ্যাথ. বিলবাও ম্যান ইউ ৩৬.৫ মিলিয়ন ইউরো
১০. সেস ফ্যাব্রেগাস বার্সেলোনা চেলসি ৩৬ মিলিয়ন ইউরো

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

খেলাধুলা

অন্তিম নিদ্রায় শায়িত ফুটবল সম্রাট পেলে

Avatar photo

Published

on

পেলে নামের রূপকথার যাত্রা ঠিক যেখানে শুরু হয়েছিল, ঠিক সেখানেই অন্তিম নিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি। সান্তোসের ভিলা বেলমেরো স্টেডিয়ামের পাশেই অবস্থিত ১৪ তলার বিশাল সমাধিস্থল নেক্রপল একুমেনিকায় মঙ্গলবার ফুটবলের রাজা পেলেকে সমাধিস্থ করা হয়। সান্তোস এফসির সামনে ভিড় করা পেলে ভক্তদের আবেগঘন বার্তা ছিল অনেক। পেলের প্রিয় ক্লাব সান্তোস এফসির স্টেডিয়ামে ব্রাজিলীয় ভাষায় লেখা: ‘দীর্ঘজীবী হোন রাজা’। সবার চোখ একবার হলেও সেখানে আটকে গেছে।

ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে হার মেনে গত বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে অন্যলোকে পাড়ি জমান ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ জেতানো সর্বকালের সেরা ফুটবলার। সেই থেকেই কাঁদছে ব্রাজিল, কাঁদছে গোটা ফুটবল-বিশ্ব। প্রিয় ক্লাব সান্তোসের মাঠ ভিলা বালমিরো থেকে যখন তার মরদেহ বের করা হচ্ছিল, সেখানে প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষ অপেক্ষায় ছিল তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। এরপর শতবর্ষী মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ১৪ তলাবিশিষ্ট বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সমাধিস্থল মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকায় ফুটবলের রাজা চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।

ভিলা বেলমেরো স্টেডিয়ামে পেলের কফিনবন্দি নিথর দেহ রেখে সোমবার সকালে শুরু হয়েছিল ২৪ ঘণ্টাব্যাপী শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাখো মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অশ্রুভেজা চোখে শেষশ্রদ্ধা জানান ফুটবল সম্রাটকে। মঙ্গলবার সকালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানোর পর শুরু হয় শেষযাত্রা।

শেষকৃত্যে যোগ দিতে আসা পেলের ভক্তদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫৯ বছর বয়সী কার্লোস মোতা। রিও ডি জেনিরো থেকে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিয়ে তিনি পেলেকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, ‘ব্রাজিলের জন্য পেলে যা করেছেন, তা ছোটবেলা থেকেই আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। সে আমাদের জাতীয় নায়ক। আমি সব সময়ই আমার ছেলেকে একটি কথাই বলি, আমার কাছে তিনটি অবিসংবাদিত তথ্য আছে-বলের আকার গোল, ঘাসের রং সবুজ এবং পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার।’

সাদা রঙের ফায়ার ট্রাকে ব্রাজিলের পতাকায় মোড়া পেলের কফিন ঘোরানো হয় সান্তোসের বিভিন্ন রাস্তায়। ফায়ার ট্রাকের ওপরে করে কফিন নেওয়া ব্রাজিলের একটি ঐতিহ্য। এর আগে ১৯৮৩ সালে মারা যাওয়া পেলের সতীর্থ গারিঞ্জার কফিনও ফায়ার ট্রাকে করে বহন করা হয়।

শবযাত্রার সময় রাস্তার দুপাশে ভিড় জমিয়ে পেলেকে শেষবিদায় জানান সাধারণ মানুষ। ভেজা চোখেই পেলেকে নিয়ে গান গাইতে দেখা যায় অনেককে। পেলেকে সমাধিস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় তার পৈতৃক বাড়ির সামনে দিয়ে। যেখানে থাকেন তার শতবর্ষী মা সেলেস্তে আরান্তেস। আগের দিন ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভিলা বেলমেরোয়। পেলেকে সমাহিত করার আগে ধর্মীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুধু তার পরিবারের সদস্যরা।

ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব থেকেও প্রতিনিধি দল গিয়েছিল পেলের শেষকৃত্যে অংশ নিতে। তারা সহমর্মিতা জানিয়েছে পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকি, তিন সন্তান এদিনহো, সিলেস্তে ও কেলি নাসিমেন্তোকে।

Continue Reading

Highlights

২০০ টাকায় দেখা যাবে বিপিএল, টিকিট পাওয়া যাবে বুধবার থেকে

Avatar photo

Published

on

আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পর্দা উঠছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের। ওইদিন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আর সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসরটি। এই সময়ে হতে যাওয়া আট ম্যাচের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৪ জানুয়ারি বুধবার থেকে। সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় দর্শকরা মাঠে বসে বিপিএল দেখার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া বিপিএলের পর্দা নামবে ১৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল দিয়ে। অন্য সব আসরের মতো এই আসরেও তিনটি ভেন্যুতে বিপিএল মাঠে গড়াবে। রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও পুণ্যভূমি সিলেট মিলে মোট পাঁচ ভাগে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিপিএল। লিগ পর্ব শেষে এলিমিনেটর, দুই কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। প্রতিদিন হবে দুটি করে খেলা। শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়, আর রাতের ম্যাচ মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সোয়া সাতটা থেকে। এছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বেলা ২টায়, আর রাতের ম্যাচ হবে বিকাল ৭টা থেকে।

ঢাকায় প্রথম পর্বে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা ধরা হয়েছে টিকিটের দাম। এই মূল্যে ইস্টার্ন স্ট্যান্ডে বসে দেখা যাবে খেলা। সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা খরচ করতে হবে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখার জন্য। নর্থ ও সাউথ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৩০০ টাকা এবং ক্লাব হাউজের জন্য খরচ করতে হবে ৫০০ টাকা। ১০০০ টাকা ধরা হয়েছে ভিআইপি স্ট্যান্ডের টিকিট মূল্য।

টিকিট পাওয়া যাবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে এবং স্টেডিয়াম-সংলগ্ন নির্ধারিত বুথে। ম্যাচের আগের দিন এবং ম্যাচের দিনগুলোতে (টিকিট থাকা সাপেক্ষে) টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বুথগুলোতে টিকিট পাওয়া যাবে।

তিন ভেন্যুতে হবে সাত দলের লড়াই। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় পর্ব হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরপর আবারও বিপিএল ফিরবে মিরপুরে। সেখান থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হয়ে চূড়ান্ত পর্বে আতিথ্য দেবে শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি মিরপুরে হবে প্রথম পর্ব।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি বিপিএল চলবে। ৮ দিনের ওই পর্ব শেষে আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। এরপর ঢাকায় ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দুই দিন বিপিএল চলার পর ২৭ জানুয়ারি থেকে বিপিএল হবে সিলেটে। ওই পর্ব চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরে গড়াবে বিপিএলের শেষ পর্ব। ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল দিয়ে নবম আসরের সমাপ্তি হবে।

Continue Reading

Highlights

ফুটবলের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় পেলে আর নেই

Avatar photo

Published

on

ফুটবল পায়ে যে মানুষ সব সময়ের সেরাদের একজন; তিনিও পেলের কাছ থেকে কিছু শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তবে পেলে এখন থেকে আর কখনোই কিছু বলবেন না। ফুটবলের রাজা খ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান আর নেই!

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৮২ বছর বয়সে মারা গেলেন ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি। পেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর কন্যা কেলি নাসিমেন্তো।

ফুটবলের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অনেকের কাছে প্রশংসিত পেলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৮ বিশ্বকাপ চলাকালে তাঁকে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায় দেখা যায়। সেই টুর্নামেন্টের এক মাস পরেই পেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একটি টিউমার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি ডাক্তারদের কাছ থেকে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের শেষের দিকে তাঁকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। কাতার বিশ্বকাপজুড়ে এবং এরপর ক্রিসমাসের সময়েও পেলে সাও পাওলোর হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো পুরো সময়জুড়ে অসুস্থ বাবার স্বাস্থ্যের খবরাখবর বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন।

বর্ণিল এক জীবন কাটিয়েছেন পেলে। পেয়েছেন অনেক স্বীকৃতি। ১৯৯৯ সালে শতাব্দীর সেরা অ্যাথলেট হিসেবে স্বীকৃতি পান আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে। ফিফার ‘প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি’ হয়েছেন ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে।

১৩৬৩ ম্যাচ খেলে ১২৭৯ গোল করেছেন পেলে। ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই তিনি কাটিয়েছেন সান্তোসে। ১৫ বছর বয়সে ক্লাব ও এক বছর পর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর দেশের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ এর বিশ্বকাপ জেতেন পেলে। ১৯৭৭ সালে ফুটবলকে বিদায় বলেন এই কিংবদন্তি।

Continue Reading