সময়সীমা না বাড়ানোর ইঙ্গিত সিইসির
ডিসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ নেই। বিএনপি সমর্থক শত নাগরিক কমিটির এ সংক্রান্ত এক দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে একথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
বুধবার বিকেলে বিএনপি সমর্থক প্রতিনিধি দলটি সিইসির সাথে দেখা করে ওই দাবি জানায়। বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন ঐ প্রতিনিধি দলে থাকলেও দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা তিন সিটি নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি তাঁদের কাছ থেকে।
সকাল থেকেই গুঞ্জন ওঠে অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল আসবে নির্বাচন কমিশনে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতিনিধি দলটিকে বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন। বিকেল সোয়া তিনটায় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে। ধারণা করা হচ্ছিল দলটি সাক্ষাৎ শেষে বের হলে বিএনপি এ নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থন দেবে কিনা জানা যাবে।
কিন্তু অধ্যাপক এমাজউদ্দীন জানান, তারা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করতে আসেন নি। শত নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোসহ এ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ছয় দফা দাবী জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যদিও এর মধ্যে ছুটি রয়েছে, তবুও আমি বলেছি আমাদের অফিস শুক্র-শনিবার খোলা থাকছে, এবং ব্যাংকও এই সময় খোলা থাকবে। এখানে দুদিন পাওয়া গেছে। সুতরাং এটিতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না।’
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, আগামী তিনদিন সরকারী ছুটিতেও প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে। সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন।
সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা শুক্র ও শনিবার সময় পাচ্ছি।
এই প্রতিনিধি দলের কমিশনে আসা এ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সবুজ সংকেত কিনা এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও জানান তাঁরা আজ বিএনপির পক্ষ থেকে আসেন নি।