Connect with us

জাতীয়

সাংবাদিকদের অনৈক্যের সুযোগে গণবিরোধী নীতিমালা: বিএনপি

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:

সাংবাদিকদের ‘অনৈক্যের’ সুযোগেই সরকার ‘গণবিরোধী ও সংবিধান পরিপন্থী’ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের ‘সাহস পেয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া। বুধবার রাজধানীতে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, এই নীতিমালার মাধ্যমে সরকার ‘মুক্তমতের কণ্ঠরোধ’করে পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকার ‘পাঁয়তারা’ করছে।“তাদের উদ্দেশ্য একটাই- সরকারের কোনো সমালোচনা ও সংবাদ জনগণকে জানতে না দেয়া।” দ্বিধা বিভক্ত সাংবদিক সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্যে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “সাংবাদিকরা যদি দুই শিবিরে বিভক্ত না হতেন, তাহলে কোনো সরকার এ রকম গণবিরোধী নীতিমালা করতে পারত না। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলব, আসুন বিভক্তি ভুলে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আপনারা একতাবদ্ধ হোন। এটা দেশের মানুষ চায়।”সশস্ত্র বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় অথবা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায়- এমন বিষয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে টেলিভিশন ও রেডিওর জন্য গত ৮ অগাস্ট সম্প্রচার নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালা নিয়ে বিএনপি ও সাংবাদিকদের একটি অংশের সমালোচনাকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ‘কণ্ঠরোধের’ জন্য নয়, এটি করা হয়েছে গণমাধ্যমের ‘কল্যাণের’ জন্য। অন্যদিকে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়ার দাবি, সরকারের ‘দলীয়করণ ও দুর্নীতির তথ্য’ গণমাধ্যমে আসা বন্ধ করাই সম্প্রচার নীতিমালার উদ্দেশ্য।  “বিচারিক আদালত কিংবা জেলা প্রশাসন অথবা র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যাতে কোনো সংবাদ পরিবেশন কিংবা সম্প্রচার না হয়। সেজন্য এই নীতিমালার মাধ্যমে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের উদ্দেশ্য। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।”সরকারের উদ্দেশ্যে রফিক বলেন, “এভাবে নীতিমালা করেও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তাদের এই স্বপ্ন  সফল হবে না।”জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস (উত্তর) এর উদ্যোগে জাতীয় প্র্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। নীতিমালার সমালোচনা করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “প্রতিবেশী দেশ পানির ন্যায্য হিস্যা দেবে না, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করবে… এসব সংবাদ দেয়া যাবে না। তাহলে দেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন কোথায় থাকবে?” জাসাস (উত্তর) এর সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মুনির খান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *