Connect with us

দেশজুড়ে

সাভারে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

জাকির হোসেন: দেশজুড়ে হিযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে সীমাহীন অপপ্রচার, হত্যার হুমকি, হামলার উস্কানি, ফতোয়া প্রদান ও গুজব রটিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও হেযবুত তওহীদের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (১৬ সেপ্টম্বর ২০১৯) সকাল ১১:০০টায় আশুলিয়ার জামগড়ায়় অবস্থিত হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হিযবুত তওহীদের ইমাম হুসাইন মোহাম্মদ সেলিমের সংবাদ সম্মেলনের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। যেখানে তিনি অনলাইনের হুমকিদাতাদের পরিচয় তুলে ধরে ও তাদের সাথে আইনি লড়াইয়ের বিভিন্ন তথ্যাবলী সম্বলিত বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি বলেন বেশিরভাগ আইনি লড়াইয়ে তাদের পক্ষে রায় হয়েছে এবং হাইকোর্টের একটি রায়ের দলিল তিনি এখানে প্রকাশ করেন, যেটিতে হিজবুত তওহীদ একটি বৈধ সংগঠন বলে রায় দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রদর্শনী শেষে, প্রতিবাদ পত্র পাঠ ও মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাভার উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি হাসিবুর রহমান শাওন।

সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকি প্রদানের বিরুদ্ধে বক্তব্য শেষে, হিযবুত তাওহীদ এর পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি ৬ দফা দাবী জানায় সংগঠনটি।

উত্থাপিত দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে ১) গ্রামে-গঞ্জে ওয়াজ মাহফিল করে, মসজিদের খুতবায় হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী, হুমকি প্রদানকারী ফতোয়াবাজদের গ্রেপ্তার করা। ২) অনলাইনে যারা হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবননাশসহ ক্ষয়-ক্ষতি সাধনের হুমকি দিচ্ছে, তাদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইসিটি আইনের আওতায় আনা। ৩) দেশব্যাপী হেযবুত তওহীদের প্রচারকার্যে, কোনো ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যেন বাধা প্রদান করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান। ৪) হেযবুত তওহীদের এমাম ও সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায়, যেকোন সময় হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাই তাদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ৬) ধর্মান্ধতা সাম্পপ্রদায়ীকতা মুক্ত একটি সমাজ বিনির্মাণে, নিঃস্বার্থ ও রাজনৈতিক অভিসন্ধিহীন আদর্শিক লড়াইয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে, হিযবুত তওহীদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি, সরকারের নির্দেশনা প্রদান করা ও অবিলম্বে সকল ওয়াজ মাহফিলে, মসজিদের খুতবায়, ধর্মীয় সমাবেশে হেযবুত তাওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও উস্কানি বন্ধের জন্য সাংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করার দাবী জানানো হয়।

এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা। অপপ্রচারকারী আলেমদের ভুল ধারণা দুর করতে হিযবুত তৌহিদের কি পদক্ষেপ ? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা আলেম সমাজকে নিয়ে বহুবার মতবিনিময় সভা ও সম্মেলন করেছি এতে অপপ্রচারকারী আলেমদের আমরা দাওয়াত দিয়েছি সে দাওয়াতে অনেকেই এসেছে এবং অনেকেই আসেনি।

সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলী হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাছলিমা ইসলামসহ আশুলিয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

দেশজুড়ে

বৃহৎ চরাঞ্চলে জাপা সেক্রেটারির একক প্রার্থীতা ঘোষণা

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি সদর-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎতর চরাঞ্চলে নিজেকে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়িতে ২৫ আগষ্ট শুক্রবার সকালে চরশেরপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় স্থানীয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুর রশিদ বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি। এতে জেলা জাপার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদসহ ১৪টি ইউনিয়নের জাপা নেতাকর্মী এবং সর্বসাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ১৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে শেরপুর সদর-১ আসন। এর মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল। ইতিহাস রয়েছে চরের মানুষ ঐক্যবদ্দ হয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে এমপি আর ছুটানো যায় না। স্থানীয় সাবেক এমপি শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনবার এরশাদের জাতীয় পার্টির মনোনয়নে শেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এরপর থেকে অত্র এলাকায় কোন দল থেকেই আর এমপি পায়নি বৃহত্তোর চরবাসী। এখানে বর্তমানে টানা ৫ বারের এমপি ও দুই বারের হুইপ রয়েছেন শেরপুর-১ সদর আসনের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। তাই শেরপুর-১ সদর আসনের বৃহত্তোর চরাঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চল হিসেবে পরিচিত বৃহত্তোর চরাঞ্চলের মানুষ একাট্টা হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাপা থেকে মনিকে মনোনয়ন এবং এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

Continue Reading

দেশজুড়ে

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ

Avatar photo

Published

on

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে শহরের থানামোড় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ আরো অনেকেই । সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক দেবাশীষ ভট্টাচার্য।সভাপতির বক্তব্যে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, সেদিনের ওই ন্যাক্কারজনক হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। অথচ বিএনপি এখন তাদের দোসর জামায়াতকে নিয়ে দেশরক্ষার নামে গণতন্ত্রের কথা বলে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের ছবক মানায় না। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা, উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

দেশজুড়ে

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘড় পেয়ে উচ্ছসিত শেরপুরের ১৩৫ পরিবার

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেল ১৩৫টি হত দরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। সাথে পাচ্ছেন সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ও জমির দলিল পেয়ে দারুণ খুশি তারা।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত জেলা পর্যায়ে ঘর উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শেরপুর জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুম। এ সময় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা চেয়রম্যান রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস প্রমুখ।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় ৪র্থ পর্যায়ে (২য়-ধাপ) শেরপুর জেলার সদর এবং শ্রীবর্দীতে ১৩৫টি হত দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান করা হয়।এর মধ্যে -শেরপুর সদর উপজেলায় ১০২টি, ও শ্রীবর্দী উপজেলায় ৩৩টি ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী শেরপুর জেলার ৫ টি উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে ১ম,২য়,৩য় পর্য়ায়ে ৭৯৭টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৯১৯টি এবং গুচ্ছগ্রাম ও অণ্যান্য উপায়ে ১৫৪টি সহ মোট ১৮৭০টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।ইতিমধ্যে শেরপুর জেলার ৫ উপজেলাকেই ভুমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হলো।

উপকারভোগী আকলিমা,লাইলি বেগম, রফিকুল বলেন, এতদিন অণ্যেও বাড়িতে থাকছি। কত ঘাল মন্দ শুনছি। এখন আমাদের নিজের বাড়ি হইছে। এখন আর কেউ ঘাল মন্দ করতে পারবে না। আমরা কোনদিন চিন্তাও করি নাই আমাদের জমি ঘড় হবে। আমরা গরীবরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।

Continue Reading