সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুণ- প্রতিমন্ত্রী
গঙ্গাচড়া, রংপুর:
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ বনভূমি থাকা প্রয়োজন তা আমাদের নেই। যা পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। তাই সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদেরকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা গতকাল বুধবার রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা চত্বরে বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দানকালে এ কথা বলেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কৃষি প্রযুক্তি ও ফলদ বৃক্ষ মেলায় আরো বক্তব্য রাখেন রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জুলফিকার হায়দার, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান ফছিউল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সামসুল আলম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।
এরপর প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা ও মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় যোগ দেন। পরে প্রতিমন্ত্রী নৌকাযোগে তিস্তা তীরবর্তী নদীভাঙ্গন কবলিত ও বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান গ্রামের বন্যার্ত ৩০টি পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল এবং আলমবিদিতর ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন বন্যার্তদের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খিচুরি ও মোটা পলিথিন বিতরণ করেন।
শাহজাদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মো. মামুন বিশ্বাস, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ:
শাহজাদপুরের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে জামিতা, কৈজুরি, এনায়েতপুরসহ যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকার কয়েকটি গ্রাম ও চর । প্রতিদিনই বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থাও। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ অনেক শাকসবজি।
এ দিকে তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ এই এলাকায় প্রায় ১০টি গ্রামের নিচু তাঁত কারখানায় প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশুর খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গোপিনাথপুর, শিবপুর, খুকনী-রূপনাই, গোপালপুর, কৈজুরিসহ কয়েকটি গ্রামের নিচু তাঁত কারখানায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় শত শত তাঁত শ্রমিকের উপার্জন বন্ধ হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এছাড়াও গত কয়েকদিনের বর্ষণে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট শাহজাদপুরে তাঁত কাপড় ব্যবসায়ীদের বেঁচা-বিক্রি না থাকায় তাদের চরম লোকসান গুণতে হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।