সিরাজগঞ্জে আদালত থেকে বিচারাধীন আসামির পলায়ন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আব্দুল করিম (২৪) শহরের মিরপুর ওয়াবদা বাঁধ এলাকার মৃত জুড়ান সেখের ছেলে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ মোক্তার হোসেন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কর্তব্যরত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার মিহির বরণ সাহা বলেন, আদালতে অন্য একটি মামলার কার্যক্রম চলছিল। এসময় আদালতের অভ্যন্তরে পিছনের দিকে বেঞ্চের সঙ্গে হ্যান্ডকাপ লাগানো অবস্থায় আসামি আব্দুল করিমকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় কৌশলে হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে এজলাস থেকে দৌঁড়ে বের হয়ে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় সে। তিনি আরো বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় করিমের বাবা জুড়ান সেখ তার স্ত্রী কহিনুর বেগমকে (৪০) তালাক দেয়। এ ঘটনায় কহিনুর বেগম স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন। মামলা চলাবস্থায় কহিনুর বেগম সদর উপজেলার বাগবাটির রহমত আলীকে বিয়ে (দ্বিতীয়) করেন। এ অবস্থায় ২০১১ সালের ১৩ জুলাই কহিনুর বেগমকে গলায় এন্ট্রিকাটার দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হারুন-অর-রশিদ বাদী হয়ে কহিনুরের প্রথম স্বামী জুড়ান সেখ ও ছেলে আব্দুল করিমের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের দিন আব্দুল করিম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলহাজতে ছিল। ইতোমধ্যেই মামলার প্রধান আসামি জুড়ান আলী মারা গেছেন। গতকাল আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল শফিক ও ওয়াহেদকে তাৎক্ষণিক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।