Connecting You with the Truth

সিরাজ, লতিফ ও আকরামের বিরুদ্ধে ৮ অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
মানবতারিবোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের আব্দুল লতিফ, সিরাজুল হক সিরাজ মাস্টার ও আকরাম হোসেন খাঁনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ তিনজনের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল তদন্ত সংস্থার কার্যালয় রাজধানীর ধানমণ্ডি সেফহোমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গতকালই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে দেন তদন্ত সংস্থা। প্রসিকিউশন এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করবেন ট্রাইব্যুনাল-১ এ। তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তারা জানান, লতিফ, সিরাজ মাস্টার ও আকরামের বিরুদ্ধে ৯টি খণ্ডে প্রমাণপত্রসহ ৮৪৪ পৃষ্ঠার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ তিনজনের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও ধর্মান্তরের ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন ৬৪ জন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১০ জুন এ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কচুয়া থানা পুলিশ গত ১১ জুন পলাতক আসামি আ. লতিফ তালুকদারকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। গত ১৯ জুন অপর পলাতক আসামি আকরাম হোসেন খাঁনকে রাজশাহী থেকে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে সোপর্দ করে। সর্বশেষ দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ২১ জুলাই রাত ১১টায় বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা গ্রামে মৃত মোসলেম পাইকের (তার চাচা শ্বশুর) পরিত্যক্ত খুঁপড়ি ঘর থেকে সিরাজ মাস্টারকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার এবং তার দুই সহযোগী আ. লতিফ তালুকদার ও আকরাম হোসেন খাঁন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাগেরহাটের কচুয়ায় শাঁখারিকাঠি বাজারে গণহত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি সুনির্দিষ্ট অপরাধে ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী মামলার আসামি। এদের মধ্যে সিরাজ মাস্টার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন এবং তিনি ‘বাগেরহাটের কসাই’ বলে কুখ্যাত। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কচুয়ার শাঁখারিকাঠি বাজারে গণহত্যার শিকার রঘুদত্তকাঠি গ্রামের শহীদ জিতেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে নিমাই চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ২০০৯ সালে কচুয়া থানায় এ তিনজনসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত দল দীর্ঘ তদন্ত শেষে আব্দুল লতিফ তালুকদার, সিরাজ মাস্টার ও খাঁন আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।

Comments
Loading...