সিরিয়ায় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়া পর্যন্ত যাওয়ার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দপ্তর হোয়াইট হাউস থেকে এ ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অপহৃত সাংবাদিক জেমস ফোলির হত্যাকাণ্ডের পর আইএস যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ঘোষণা করে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্র্রহণের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাকে আইএস জঙ্গিদের আগ্রযাত্রা থামাতে শিরশ্ছেদ করে ফোলিকে হত্যার আগে কয়েকদিন ধরে গোষ্ঠীটির অবস্থানের বিরুদ্ধে সীমিত পরিসরে বিমান হামলা চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু ফোলিকে হত্যার পর আইএস’র বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযান পরিচালনার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি। ওই জঙ্গিদের হাতে স্টিভ সটলফ নামে যুক্তরাষ্ট্রের আরো এক সাংবাদিক বন্দি আছেন। সটলফকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহের ছুটি শেষে ওবামা হোয়াইট হাউসে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে ইরাক থেকে আইএস এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আইএস এর দখলকৃত অবস্থানগুলোতে হামলার বিষয়টি এখনো বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রোডস।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য যা করা প্রয়োজন তাই করবো আমরা। জেমস ফোলির বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। তাই এই হুমকিটি মোকাবিলায় কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি আমরা। এই ক্ষেত্রে আমরা সীমান্তের বিধিনিষেধ মানবো না।”
এভাবে ইরাকের ইয়াজিদি সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ইরাকের মাত্র দুটি এলাকায় আইএস’র অবস্থানের বিরুদ্ধে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত বিমান হামলা বিস্তৃত হয়ে পড়তে পারে।