Connect with us

আন্তর্জাতিক

সিরিয়া সরকার এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে- জাতিসংঘ

Avatar photo

Published

on

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট বাহিনী খুন, নির্যাতন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ নানা ভয়াবহ সহিংস তৎপরতা চালাচ্ছে।

ওদিকে, সরকারি বাহিনী আবাসিক এলাকাগুলোতে ব্যারেল বোমা হামলা চালাচ্ছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলে ৮ টি হামলার ঘটনায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনাও আছে। অনেকেরই ধারণা ওই সমস্ত হামলায় ক্লোরাইন ব্যবহার করা হয়েছিল।

জেনেভায় প্রকাশিত ৪৫ পাতার প্রতিবেদনে তদন্তকারীরা এসব হামলা ছাড়াও সরকারি পক্ষের অন্যান্য আরো যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের কথা বলেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। সেইসঙ্গে চরমপন্থার কারণে লড়াইয়ে নৃশংসতা বাড়ছে।

সিরিয়ার জেলে মৃত্যু বাড়ছে। তাছাড়া, ২০১১-১৩ সালে সরকারি আটককেন্দ্র থেকে নেয়া ২৬,৯৪৮ ছবি বিশ্লেষণ করে ধারাবাহিক নির্যাতন এবং বন্দি হত্যার আলামত আরো সুস্পষ্ট হয়েছে।

সরকার পক্ষ নির্বিচারে বয়সে তরুণদের ধরপাকড় করেছে এবং এদের অনেকেই নিখোঁজ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

৪৮০ জনের সাক্ষাৎকার এবং দলিলের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে জাতিসংঘের এ তদন্ত প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনে সরকারি বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বর্ণনার পাশাপাশি আইএস জঙ্গিদেরও নৃশংসতার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আলেপ্পোয় আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। শিশুদের সামনেই শিরশ্ছেদ করে, কাছ থেকে গুলি করে কিংবা ক্রুশবিদ্ধ করে মারা হচ্ছে বন্দিদের। দেহগুলো ফেলে রাখা হচ্ছে প্রকাশ্যে। সেইসঙ্গে চলছে নির্যাতন, খুন, গুম এমনকি উচ্ছেদ অভিযানও। যা মানবতা বিরোধী অপরাধের সামিল।

গত সপ্তাহান্তে আইএস জঙ্গিরা সিরিয়ায় একটি বিমানঘাঁটি দখলের পর সিরিয়ার সেনাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে এবং অনেককে জিম্মি করছে।

আইএস জঙ্গিরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের জন্য স্পষ্টতই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ তদন্ত প্যানেলের চেয়ারম্যান পাউলো পিনহেরিও।

তদন্তকারীরা মানবতা বিরোধী অপরাধের সন্দেহে কয়েকজনের একটি গোপন তালিকা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৮

Avatar photo

Published

on

পূর্ব ইউক্রেনের শহর স্লোভিয়ানস্কে শুক্রবার ফ্ল্যাটের একটি ব্লকে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। শিশুটিকে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে সংগঠিত করা সহজ করতে এবং তাদের দেশ থেকে পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি খসড়া বিলে স্বাক্ষর করার মধ্যেইপ্রতিবেশীদের ওপর এই হামলা চালালো।

রাশিয়া আরও বলেছে, তারা স্লোভিয়ানস্কের ৪৫ কিলোমিটার (২৭ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে বাখমুতের ভয়াবহ যুদ্ধের হটস্পট আরও ঠেলে দিচ্ছে, কিয়েভ যদি দীর্ঘতম এবং রক্তক্ষয়ী বাখমুতের যুদ্ধে হেরে যায় তাহলে সেটি এই বড় শহরটির জন্য ঝুঁকি গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। স্লোভিয়ানস্ক দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি অংশে অবস্থিত যা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন।

অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে রাশিয়ান হামলার পর দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো ইউক্রেনের টেলিভিশনে বলেছেন, হামলায় ‘২১ জন আহত হয়েছে এবং আটজন মারা গেছে।’

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একটি ছেলে শিশু রয়েছে। এএফপি সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে বলেছেন, উদ্ধারকর্মীরা সাধারণ সোভিয়েত যুগের হাউজিং ব্লকের উপরের তলায় বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং সেখান থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, ‘ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনার পর একটি অ্যাম্বুলেন্সে এক শিশু মারা গেছে।’ ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা এই ‘অবর্ণনীয় শোকের’ সময় শিশুটির পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা পাঠিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে আবাসিক ভবনে ‘নৃশংসভাবে গোলাবর্ষণ’ এবং ‘দিবালোকে মানুষ হত্যার’ জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেছেন।

Continue Reading

Highlights

মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে পুরস্কার পেলেন রাশিয়ান পাইলটরা

Avatar photo

Published

on

কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ফাইটার পাইলটদের পুরস্কৃত করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি রুটিন মিশনে ছিল। রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান তা আটকানোর চেষ্টা করে। রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের আঘাতে ড্রোনটি অকেজো হয়ে পড়ে। পাইলটরা যারা দূর থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করেছিল তারা তখন এটিকে কৃষ্ণ সাগরে ফেলে দিতে বাধ্য হয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর মঙ্গলবারের সংঘর্ষটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ। যদিও মস্কো মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার দাবি অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন দেখে তারা ফাইটার জেট পাঠিয়েছিল। তবে ড্রোনের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়নি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমানের পাইলটদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এমকিউ-রিপার ড্রোনটি প্রবল বেগে চলার সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পানিতে পড়ে যায়। ড্রোনটি ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখে উড়ছিল। যা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ আকাশসীমায় রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে এসে এটিকে হয়রানি করে এবং এতে জ্বালানি ছিটিয়ে দেয়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে এটিকে আটকানোর চেষ্টা করার পর একটি যুদ্ধবিমান দ্বারা ড্রোনটির প্রপেলারটি কেটে যায় এবং এটি সমুদ্রে পড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মার্কিন সেনাবাহিনী এই এনকাউন্টারের ৪০ সেকেন্ডের সম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে আসছে। এ সময় এটি ড্রোনটির উপর জ্বালানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। এরপর ড্রোনটির প্রপেলার নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনাকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন একজন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল।

Continue Reading

Highlights

সব ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করল কানাডা

Avatar photo

Published

on

কানাডা সরকার দেশটির সব সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে সোমবার এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এর মাধ্যমে চীনা ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফরমটির বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের আরেকটি ক্র্যাকডাউন (সাঁড়াশি অভিযান) শুরু হতে পারে।

এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আজ মঙ্গলবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে অটোয়া প্রশাসন।

আনাদোলু জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের কিছুক্ষণ পরই জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি একটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, এটিই হতে পারে একমাত্র পদক্ষেপ যা আমাদের নিতে হবে। তবে প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা নিশ্চিত করতে যাচ্ছি যে, আমরা কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখছি।’

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং কানাডার জনগণ অনলাইনে যেভাবে স্বাধীন মতপ্রকাশে সংযুক্ত হতে চায়, আমরা তা খুব গুরুত্বসহকারে নিয়েছি।’

‘কিন্তু আমাদের কাছে ডেটা সুরক্ষা, কানাডিয়ানদের সুরক্ষা এবং সুরক্ষার জন্য আমাদের যে গুরুত্বপূর্ণ নীতি রয়েছে, তা আমরা সর্বদা এগিয়ে নিয়ে যাব,’ বলেন ট্রুডো।

খবরে বলা হয়েছে, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে একটি ইমেল পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তার পর্যালোচনার পর ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফরম অ্যাপটি এখন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, টিকটক বেইজিংভিত্তিক বাইটড্যান্স প্রযুক্তি কোম্পানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। চীনা সরকার এই অ্যাপটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য করে বলে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Continue Reading