Connecting You with the Truth

সীমান্তে হত্যা কমবে গরু চোরাচালান বন্ধে – বিজিবি মহাপরিচালক 

bgb
সীমান্তে হত্যার ৯৫ ভাগ ঘটনার পেছনে গরু চোরাচালানের ঘটনা জড়িত। গরু চোরাচালানির ছত্র ছায়ায় সীমান্তে অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক, হুন্ডির টাকার ব্যবসা হচ্ছে। গরু চোরাচালান বন্ধ করা হলে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

আজ শুক্রবার বিজিবির সদর দফতরে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এক প্রেস বিফিং- এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৩ অক্টোবর দিল্লীতে বিএসএফ-বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে মহাপরিচালক প্রেস বিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

মহাপরিচালক বলেন, ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাচালানিরা গরু সংগ্রহ করে বাংলাদেশের সীমান্তে জড় করেন। টাকার লোভে বাংলাদেশ থেকে চোরাকারবারীরা জিরো লাইন অতিক্রম করলে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ কারণে বিএসএফকে এ গরু চোরাচালান বন্ধের জন্য দাবি জানানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চলতি বছর এ পর্যন্ত সীমান্তে ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পক্ষান্তরে গরু চোরাচালানিদের হাতে তিনজন বিএসএফ সদস্য নিহত ও ১৫৭ আহত হয়েছেন। বিএসএফ-এর গুলিতে ৬ ভারতীয় চোরাচালানি নিহত হয়েছেন। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে চারজন বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করেছে।

বিএসএফ-এর ডিজির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছে- নন লেথাল ওয়েপন (মারণঘাতী নয়) ব্যবহার করলে কেন এতো মানুষ মারা যাচ্ছে? আমরা সেখানে দেখেছি- যেসব বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মুখে ও বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি, কেউ ভারতে অনুপ্রবেশ করলে তাদের হাটুর নিচে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, একমাত্র গরু চোরাচালান বন্ধ করলে সীমান্তে হত্যার ঘটনা অনেক কমে আনা সম্ভব হবে।

মহাপরিচালক বলেন, সন্মেলনে ভারতের কাছে ১২০০ জন সন্ত্রাসীর একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর মধ্যে আত্মগোপন করা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার দুই জঙ্গি সদস্যসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। বিডিপত্র/আমিরুল

Comments
Loading...