Connecting You with the Truth

সুনামিতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হতে পারে করাচি

tsunami-Copyপাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনামিতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হতে পারে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর করাচি। গতকাল (বুধবার) ভারত মহাসাগরে কল্পিত সুনামির বিষয়ে একটি মহড়া শেষে এ কথা বলেছেন তারা।

ভারত মহাসাগরের আরব এবং ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের মিলনস্থল আরাকান ট্রেঞ্চে সৃষ্ট ৯.০ মাত্রার একটি কাল্পনিক সুনামির ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ পাকিস্তান উপকূলে এ মহড়ার আয়োজন করে।

এ মহড়ার সাবিক তত্বাবধান করেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত আবহাওয়াবিজ্ঞানী তৌসিফ আলম। তিনি জানান, সম্ভাব্য সুনামি সমুদ্রে ৩ থেকে ২৩ ফুট পর্যন্ত উঁচু ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে। এই ঢেউ এতই শক্তিশালী হবে যে, বন্দরনগরী করাচিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারবে।

তৌসিফ আলম জানান, ১৯৪৫ সালে করাচি শহরে একটি সুনামি আঘাত হেনেছিল এবং তখন ৪,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। সম্ভাব্য সুনামিতে পাকিস্তান জাতীয়ভাবে ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হবে কারণ দেশটির জাতীয় আয়ের শতকরা ৪২ ভাগ এ বন্দরের ওপর নির্ভরশীল।

তৌসিফ আলম জানান, “একই এলাকায় আরো একটি সুনামির আশংকা করা হচ্ছে তবে আমরা জানি না কখন বা কবে তা আঘাত হানবে।” তিনি জানান, এ ধরনের ভয়াবহ সুনামি সৃষ্টি হলে ইন্দোনেশিয়া থেকে করাচি বন্দরে আঘাত হানতে সময় লাগবে মাত্র দেড় ঘণ্টা।

 তিনি জানান, এ ধরনের সুনামি আঘাত হানলে প্রকৃত সময়েই ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সুনামি সতর্ককরণ কেন্দ্র থেকে করাচি আবহাওয়া অফিসে তথ্য পাঠানো হবে। পাকিস্তানের এ আবহাওয়াবিজ্ঞানী জানান, “মহড়ার মাধ্যমে সুনামির সতর্কবার্তা সঠিক সময়ে এবং কার্যকরভাবে পৌঁছানো সম্ভব কিনা তা আমরা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছি। এছাড়া, জনগণকে নিরাপত্তা প্রস্তুতির বিষয়ে সচেতন করতে এবং সামগ্রীক কার্যক্রমে সমন্বয় সাধানের জন্যও মহড়া চালানো হয়েছে।”

মারাকান ট্রেঞ্চের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় পাকিস্তান দফায় দফায় ভূমিকম্পের শিকার হয়। ২০০৫ সালে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আজাদ কাশ্মিরে ৭৩,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ৩৫ লাখ মানুষ উদ্বাস্ত হয়।

Comments
Loading...