কুষ্টিয়া

স্বামী-সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে শাহানাজ পারভীনের সংবাদ সম্মেলন

Published

on

কুষ্টিয়া: দৌলতপুর উপজেলার ৫ নং রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভাগযোত বাজারে অবস্থিত আল মক্কা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক জাহিদ হাসানের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন সম্মেলনের মাধ্যমে সে তার স্বামী- সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে চেয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে শাহনাজ পারভীন জানান, ১৩ বছর আগে জাহিদ হাসানের সাথে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তী আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমন অবস্থায় আমার স্বামী ও শাশুড়ি পরস্পর যোগসাজশে করে আমাকে ভরণপোষণ না দেওয়ার মন-মানসিকতায় মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আমার বাবা-মার কাছ থেকে। এবং সেই মোটা অঙ্কের যৌতুক না পাওয়া পর্যন্ত আমার উপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন।

পরে নির্যাতনের বিষয়টি আমার বাবা-মাকে জানালে আমার সুখের কথা চিন্তা করে জমি-জায়গা বিক্রয় করে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান পরে আমার স্বামী জাহিদকে। পরে কিছুদিন তারা ক্ষান্ত হলেও পুনরায় আবার আরে ৫ লক্ষ টাকা আমার বাবা মার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য বলে । দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা আমি এনে দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা পূর্বের থেকে আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।

গত ১০/০৫/২০২৩ তারিখ রাতে আমার স্বামী জাহিদ হাসান তাহার বসত বাড়ির শয়ন কক্ষে আমার শাশুড়ি মাসুরা খাতুন এর সহযোগিতায় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে আমার স্বামী ও শাশুড়ি ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে একটি দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমের মধ্যে আটকায়ে রাখে।

আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশী ও লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি স্থানীয় লোকজনদের অপমান অপদস্ত করে যার কারণে বাধ্য হয় স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি প্রশাসন কে অবগত করে। পরে উক্ত ৯৯৯ এর সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আমাকে দুর্গন্ধযুক্ত ঐ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।

শাহনাজ পারভীন আরো জানান, আমি আমার স্বামী সংসার ও ছেলেমেয়ে কে ফিরে পেতে চাই। আমার বাবার বসতভিটা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে তাকে ইতিপূর্বে ৮ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি, এখন আর তাদের টাকা দেওয়ার মতো কোন সম্বল নেই। যার কারণে আমার উপর এমন অত্যাচার এর মাত্রা তাদের দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version