জাতীয়

হজযাত্রী পরিবহন: নিজস্ব উড়োজাহাজেই ভরসা বিমানের

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব সক্ষমতায় হজযাত্রী পরিবহন করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, “২৭ অগাস্ট সকাল ৭টায় হজযাত্রীদের নিয়ে বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে। সিদ্ধান্ত অনুসারে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়েই এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।” তিনি জানান, এবার প্রায় ৫০ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। তবে এর চেয়ে দুই হাজার যাত্রী বেশি বহনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বিমান তিনটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে। এছাড়া ২২টি শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীদের পরিবহন করা হবে।” নির্বিঘ্নে হজ ফ্লাইট চালাতে অন্য বছরের মতো এবারো নিয়মিত বহরে কিছুটা কাঁট-ছাঁট চালাতে হবে বিমানকে। এ বছর হজ মৌসুমে দিল্লি ও হংকং রুট সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান বিমানমন্ত্রী। হজ ফ্লাইট চালাতে নিয়মিত রুটে কাটছাঁট করা হবে কিনা জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, “এটা ঠিক না। শুধু দুটো রুটে সাময়িকভাবে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হবে।” এক বছর বন্ধ থাকার পরে গত বছরের ৪ মে দিল্লি এবং ১৩ মে হংকং রুটে ফ্লাইট চালু করে বিমান। সে সময় বাজার যাচাই না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ দুটি রুট চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৪ অক্টোবর হজ হতে পারে। আর হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২৭ আগস্ট, শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৮ অক্টোবর। এবার মোট ২৪৮টি হজ ফ্লাইটের মধ্যে বিমান পরিচালনা করবে ১২৫টি। আর সৌদি অ্যারাবিয়ান ও নাস এয়ার পরিচালনা করবে ১২৩টি ফ্লাইট। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৯৮ হাজার ৭০৫ জন হজে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সরকারের চুক্তি অনুসারে বিমান ৫০ শতাংশ এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে। হজযাত্রীদের জন্য বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনায় হজ ক্যাম্পে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে জানিয়ে হজ পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “এ বছর এক হাজার ৬০০ জন সরকারিভাবে হজ করার সুযোগ পাবেন। আর বাকিরা ৮৩৫টি এজেন্সির মাধ্যমে হজ করবেন। “ডাটা এন্ট্রির কাজ শেষ। প্রত্যেককে একটি করে স্বতন্ত্র আইডি দেয়া হয়েছে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে। এর মাধ্যমে তারা হজ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।” তিনি জানান, আগামী ২৪ অগাস্ট থেকে হজ ক্যাম্পে এসে রিপোর্ট করতে হবে হজযাত্রীদের। সেখানে তাদের কিছু প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। বিমানে করে যারা হজে যাবেন তাদের ইমিগ্রেশনসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ক্যাম্প থেকেই সারা হবে। “যারা মেডিকেল চেক আপ করতে পারেন নি তাদের জন্য হজ ক্যাম্পেই মেডিকেল চেক আপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” আগামী ২৬ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে মিজানুর জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version