রাসেল হাসান, হিলি প্রতিনিধি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলিস্থলবন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মাঝে আমদানি রফতানি বানিজ্য কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতিতে ট্রাকের চালক ও সহকারীদের ছবি সম্বলিত কারপাস পদ্ধতি চালুকরন বিষয় নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের কাষ্টমস কর্মকর্তা, আমদানি রফতানিকারক ব্যাবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্ট গনের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভারতের হিলি কাষ্টমস কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের হিলি কাষ্টমস ও ব্যাবসায়ীদের আমন্ত্রনে বাংলাদেশের হিলি কাষ্টমস কর্মকর্তা, আমদানিকারক, সিএন্ডএফএজন্ট ও পানামা পোর্টের ৬সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যার এবং বৈঠকে অংশগ্রহন করেন। বৈঠক শেষে পরে তারা একই পথে দেশে ফিরে আসেন।
বৈঠকে ভারত বাংলাদেশের মাঝে আমদানি রফতানি বানিজ্য কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতিতে ট্রাকের চালক ও সহকারীদের ছবি সম্বলিত কারপাস পদ্ধতি আগামী মার্চ মাস থেকে হিলিস্থলবন্দরে চালুকরনের বিষয়ে এবং এর সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের মালদা কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার এস ঘোষ, হিলি কাষ্টমসের সুপারেনটেনডেন্ট সন্তোষ কুমার রায়, হিলি এক্য্রপোর্টার এন্ড সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ দাস, সম্পাদক অশোক কুমার মন্ডল। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, হিলিস্থলবন্দর শুল্কষ্টেশনের সহকারী কমিশনার তাহের উল আলম চৌধুরী, সুপারেনটেনডেন্ট মো.মনিরুজ্জামান, ইন্সপেক্টর রনবীর চন্দ্র বর্মন, হিলিস্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রæপের আহবায়ক হারুন উর রশীদ হারুন, সিএন্ডএফএজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্মসাধারন সম্পাদক শাহিনুর রেজা শাহীন, পানামা হিলি পোর্টের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো.হাসান প্রমুখ।
হিলিস্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রæপের আহবায়ক হারুন উর রশীদ হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে হিলিস্থলবন্দর দিয়ে দু-দেশের মাঝে আমদানি রফতানি বানিজ্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে করেই একটি পন্যবাহী ট্রাককে ভারতের কাষ্টমসে, বিএসএফ পোষ্টে এন্ট্রি করতে হয়, এর পরে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাষ্টমসে এবং পানামা পোর্টে এন্ট্রি করতে সব মিলিয়ে চার থেকে পাঁচ জায়গায় কাগজ এন্ট্রি করতে হয় এতে করে বেশ সময় অতিবাহিত হয়। যার ফলে বন্দর দিয়ে খুব বেশী পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনা। এর উপর নতুন করে আবার চালক ও সহকারীদের ছবি সম্বলিত কারপাস পদ্ধতি চালুকরনের বিষয়ে ভারতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা ব্যাবসায়ীরা এর বিপক্ষে মত দিয়েছি। তবে আগে যেসব পদ্ধতি চালু আছে সেগুলো বাতিল করে নুতন কারপাস পদ্ধতি চালু করতে বলা হয়েছে।