Connect with us

Highlights

হেফাজত ও সরকার পরস্পরকে নিয়ে ‘স্বস্তিতে’ থাকার উপায় খুঁজছে

Avatar photo

Published

on

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাথে সরকারের সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তির বিষয়ে সরকার ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে সংগঠনটির নেতা মামুনুল হকের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে এখনো তীব্র আপত্তি আছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে রাজনীতিতে না জড়ানোর বিষয়ে সংগঠনটি সরকারকে ‘মুচলেকা’ দিয়েছে।যদিও সংগঠনটির মহাসচিব সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন তারা সরকারকে কোনো বিষয়ে কোনো ‘মুচলেকা’ দেননি।

তবে গত মাসে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের পর এর সংগঠনটির যেসব নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় আটক আছে তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর আশা করছে সংগঠনটি। একে হেফাজতের প্রতি সরকারের নমনীয় মনোভাব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এর মধ্যেই গণমাধ্যমের খবর এসেছে যে নেতা কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের শর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে ‘বিব্রত না করার অঙ্গীকার’ করেছে সংগঠনটির নেতারা।

অন্যদিকে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ ‘ঠিকঠাক’ করার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোকেও নিজেদের দিকে টানা বা রাখার কৌশল হিসেবেই হেফাজতের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা নরম হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস বিবিসি বাংলাকে বলেছে তারা সরকারকে কোনো বিষয়ে মুচলেকা দেননি তবে রাজনীতিতে না জড়ানোর বিষয়ে হেফাজতের আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে যে সংগঠনটি দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলছেন আগে ভুল করে হেফাজত ‘বিএনপির ফাঁদে পা’ দিয়েছিলো এবং পরে সেই ভুল তারা বুঝতে পেরেছে।

আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলছেন যে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সবার কথা শুনেন এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাদের কথাও শুনেছেন।

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে এক সমাবেশের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছিলো হেফাজতে ইসলাম। এরপর সংগঠনটি কোনো কোনো ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের বিপক্ষে গেলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের সাথে আলোচনায় এসে বিভিন্ন দাবি আদায় করেছে।

তবে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে সংগঠনটির একজন নেতা মামুনুল হকের ভূমিকা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো। পরে তিনি ভিন্ন অভিযোগে আটক হয়ে এখন জেলে। অন্যদিকে আরও কিছু ঘটনায় মামলার আসামি হয়ে আটক হয়েছেন এর কমপক্ষে পনের জন নেতা।

আড়াইশর বেশি মামলাও আছে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হেফাজত ইসলামের নেতারা বহুবার এসব মামলা তুলে নিয়ে আটক নেতাদের মুক্তির আর্জি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

এমনকি সরকারকে বিব্রত না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তারপরেও সুনির্দিষ্ট কয়েকজন নেতা ও তাদের মামলার বিষয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবে পরিবর্তন আসছিলো না।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে যে ধারনা পাওয়া গেছে সেটি হলো নির্বাচনের আগে বিএনপি তাদের বিভিন্ন দাবিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

সে কারণেই বিএনপি ও জামাতসহ তাদের ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলো ব্যতিরেকে বাকীদের হয় আওয়ামী লীগের দিকে নিয়ে আসা নয়তো নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখতে চাইছে সরকার।

যেহেতু হেফাজতে ইসলামের মধ্যে কিছু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতা আছেন এবং তারা বিএনপির দিকে ঝুঁকতে পারেন বলে অনেকে মনে করেন সেই প্রেক্ষাপটে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে আগেই নিশ্চয়তা চায় সরকার যে সংগঠনটি কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যবহৃত হবে না।

ইতোমধ্যে সংগঠনটির দাবি মেনে সরকার এবারো বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দ কান্দালভীকে আসার অনুমতি দেয়নি। আবার তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী মুক্তিও পেয়েছেন, যারা বিভিন্ন অভিযোগে আটক হয়ে জেলে ছিলেন।

সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস বলছেন তারা গত সতেরই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে নেতাদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার সহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন।

“আমরা দাবিগুলো তুলেছি। মামলাগুলো নিয়ে কাজ চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে আবারো কথা হবে। কিন্তু আমরা কোথাও কোনো মুচলেকা দেইনি। মুচলেকা দেয়ার তো কিছু নেই কারণ হেফাজতে ইসলাম তো রাজনৈতিক দল না। এখানে যারা রাজনৈতিক নেতা তাদের নিজস্ব আলাদা দল আছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

মূলত ওই বৈঠকের পর থেকেই সরকারের সঙ্গে হেফাজতের সমঝোতা ও রাজনৈতিক কোনো ইস্যুতে না জড়ানোর বিষয়ে মুচলেকা দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

যদিও সংগঠনটির একটি সূত্র জানিয়েছে হেফাজত নেতাদের মধ্যে মামুনুল হকের বিষয়ে সরকারের তীব্র আপত্তি আছে কারণ তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ করার নামে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে বলে সরকার মনে করছে।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে হেফাজত নেতাদের বৈঠকগুলোতেও মিস্টার হকের বিষয়ে কোনো ছাড় না দেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিলো।

এ কারণেই এখন সংগঠনটির পক্ষ থেকে সরকারকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে এর কোনো নেতা সরকার বিরোধী প্রচারণা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে হেফাজতকে ব্যবহার করবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বিবিসি বাংলাকে বলছেন অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে হেফাজতে ইসলাম তাদের পরিমণ্ডলে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক এবং তারা তাদের যৌক্তিক দাবী দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলে সরকার সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিতেই পারে।

তাছাড়া সামনে নির্বাচন আসছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনি নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলছে। সে কারণে নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো যেন বিরোধীদের দিকে হেলে না পড়ে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও মনে করেন অনেকে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন সামনে নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে আসবে এবং সরকার সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

পাশাপাশি অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোও প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলছেন এবং হেফাজতসহ যে কারও আইনসিদ্ধ প্রস্তাবগুলোর প্রতি সরকার সবসময়ই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবে।

তবে হেফাজতে ইসলামিতে বিভিন্ন সময়ে সক্রিয় ছিলেন এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে গত প্রায় দু বছর ধরেই সংগঠনটি সরকারের নিয়ন্ত্রণেই আছে। বিশেষ করে এর সাবেক আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ শক্ত হয় বলে এর নেতাদের অনেকে বলেছেন।

এখন নির্বাচনের বছরে এসে সরকার ও হেফাজতে ইসলাম- উভয়েই নিজেদের মধ্যকার বিরোধের জায়গাগুলো নিষ্পত্তি করে আরও স্বস্তিতে থাকতে চাইছে বলে মনে করছেন তাদের কেউ কেউ।

হেফাজত নেতা মীর ইদ্রিস বলছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর চলতি মাসের মাঝামাঝি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আবারো বৈঠক করেছেন তারা।

“মামলাগুলোর বিষয়ে তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। এরপর আবার আলোচনা হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

-বিবিসি বাংলা

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

লালমনিরহাটে টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে থাকায় বর্বরোচিত হামলা, আহত ৭

Avatar photo

Published

on

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
‘টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে আছে কেন?’ এই বিষয় নিয়ে তর্ক জুড়ে দিয়ে লালমনিরহাটে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর। এতে হেযবুত তওহীদের ৭ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে গণসংযোগকালে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, দাড়ি টুপি পড়া কয়েকজন লোক, হ্যান্ডবিল হাতে প্রচারকার্যে নিয়োজিত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলছে। একজন পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে উত্তেজিতভাবে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা কিসের কথা বলেন, ইসলাম কি আলাদা? জবাবে হেযবুত তওহীদের কর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘ইসলাম আলাদা হবে কেন? ইসলামতো আল্লার রসুল (সা.) প্রেরিত এক ইসলামই।’ এরপর পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা সেই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের টাখনুর নিচে কাপড় কেন?’ এই বলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রচারকর্মীদের।

জবাবে হ্যান্ডবিল হাতে থাকা হেযবুত তওহীদের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আমরা অন্যায় কিছু করছি না। গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আমরা কোনো অন্যায় করলে থানায় যান’।

পরমুহূর্তেই পাঞ্জাবি পড়া দাড়িওয়ালা অপর এক ব্যক্তি তাকে ধাক্কা দেয় এবং তাদের সাথে থাকা লোকজনকে লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জন করে কয়েকটি দল লাঠিসোটা, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ভিডিওতে উস্কানি দেওয়া ব্যক্তির হাতে লোহার পাইপ লক্ষ করা যায়। এবং পাইপের মাথা বাঁকানো দেখা যায়। যা দ্বারা বোঝা যায় কাউকে আঘাত করার পর পাইপটি বেঁকে গেছে।

স্থনীয়রা জানায়, হেযবুত তওহীদের লোকেরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারকার্য চালাচ্ছিল। এসময় কয়েকজন হুজুর এসে তাদের প্রচারকার্যে বাধা দেয়। তাদের সুরত ও লেবাসে চরমোনাই পীরের অনুসারী বলে মনে হয়। ‘টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলে আছে কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে তর্ক জুড়ে দেয় তারা। কথায় কথায় ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হুজুরদের নির্দেশে একদল লোক হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা করে। হামলায় হেযবুত তওহীদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। জানা যায়, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

লালমনিরহাটের জেলা আমীর একরামুল হক বলেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা প্রচারকার্য চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাঞ্জাবি, টুপি পরা কয়েকজন লেবাসধারী লোক এসে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমরা তাদের বলি, আমরা কোনো অন্যায় করছি না। আমরা যা করছি প্রশাসনকে জানিয়ে করছি। আমরা যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে আপনি থানায় যান। আপনার আমাদের কাজে বাধা দেবার কোনো রাইট নাই। এই কথা শুনে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পড়নের প্যান্ট টাখনুর নিচে ঝুলে পড়ল কেন? এটা কেমন ইসলাম এসব কথা বলে তাদের আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা লোকেদের লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জনের কয়েকটি দল হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।

হেযবুত তওহীদের রংপুর বিভাগীয় আমীর মশীউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসনকে অবগত করে শান্তিুপূর্ণভাবে জনসংযোগ করছিল হেযবুত তওহীদ। হঠাৎ বিনা উস্কানিতে লেবাসধারী ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী কর্মসূচিতে বাধা দেয়। ৭জন সদস্যকে তারা বেদম প্রহার করেছে। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

লেবাসধারী এই ধর্মব্যবসায়ীরা আসলে চায়না প্রকৃত ইসলামটা মানুষ জানুন। তাহলে তাদের ধর্মব্যবসা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের মুখোশ খুলে যাবে। সেজন্যই পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের এই জনসংযোগে হামলা করেছে। হামলাকারীদের লেবাস দেখে, পোশাক-আসাক দেখে মনে হচ্ছে তারা চরমোনাই পন্থী। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা, ধর্মব্যবসা, অপ-রাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, হুজুগ, গুজব এবং নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে দেশব্যাপী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটেও গণসংযোগ করে আন্দোলনটির নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে ‘বাংলাদেশসহ সমগ্র মানবজাতির সংকট ও পরিত্রাণের পথ’ নামে সচেতনতামূলক একটি হ্যান্ডবিল প্রচার করছিলেন হেযবুত তওহীদের সদস্যরা।

Continue Reading

Highlights

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কুমিল্লা জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আগমন ফুড পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।

সাবেক কুমিল্লা জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. সুজন, লালমাই উপজেলা সভাপতি আবু রায়হানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এই দেশে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তি দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়াসহ যেসব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে সবগুলো দেশকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আরেক দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কাজেই আমাদের যাবতীয় সহিংসতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো সংকটের সমাধান ইসলাম দিয়েই সম্ভব কিন্তু ইসলামের সেই প্রকৃত রূপ কারও কাছে নেই। মহান আল্লাহ দয়া করে সেটা হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমরা প্রকৃত ইসলামের আদর্শ দিয়ে একটা নোয়াখালীতে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করে দেখিয়েছি। যে আদর্শ একটা ছোট্ট সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে পারে ইনশাআল্লাহ সেই আদর্শ দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। এই মহতী কাজে সকলকে আমরা সাথে চাই।

এরআগে এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল। অনুষ্ঠানে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Continue Reading

Highlights

‘দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’

Avatar photo

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেযবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা ও ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। শনিবার দিনব্যাপী ময়মনসিংহে টাউনহল মোড়স্থ এ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। “বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অস্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে ময়মনসিংহ জেলা হেযবুত তওহীদ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি রহমত উল্লাহ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের শীর্ষনেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সম্পাদিকা রোজিনা আক্তার, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, শেরপুর জেলা সভাপতি মোমিনুর রহমান পান্না, জামালপুর জেলা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি আব্দুল কায়ইয়ুম প্রমুখ।

ভায় হেযবুত তওহীদের ইমাম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা ও সাম্রাজ্যবাদীদের কড়াল থাবা থেকে কোটি বাঙ্গালীকে রক্ষার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যারা সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় মত্ত, তারা বাংলাদেশের মানচিত্র খাবলে খাওয়ার জন্য শকুনের মত থাবা বিস্তারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একটি মহান আদর্শের ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বর্তমান সমাজ, অন্যায়-অশান্তি, মিথ্যা, প্রতারণা, মাদক ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ। সমাজের এই অধঃপতনের মূল কারণ আল্লাহকে ইলাহ বা হুকুমদাতা হিসেবে না মানা। সমাজের এই দূরাবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে মানবজাতিকে আবার আল্লাহকে ইলাহ এর আসনে বসাতে হবে। এককভাবে এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই কাজে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।”

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতিকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে কামড়াকামড়ির এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির এই রাজনীতি বন্ধ না হলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বজুড়ে চলমান এই ভোগবাদী শাসন ব্যবস্থা, বৈষম্যমূলক অর্থ ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে বিশ্বময় চলমান যুদ্ধাবস্থা ও এর কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতির জন্য জাতিকে সতর্ক সচেনত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, লেবাসধারী এক শ্রেণির ভণ্ডআলেমদের স্বার্থবাদী উগ্র কর্মকাণ্ডের কারণে ইসলামের গায়ে আজ কালিমা লিপ্ত হয়েছে। আর এদের মুখোশ উন্মোচন করায় তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। তিনি উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কোনো লাভ হবে না। হেযবুত তওহীদ সত্য নিয়ে এসেছে। মিথ্যার ধ্বংস এবার অনিবার্য। এসময় ধর্মব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অপপ্রচারের কড়া জাবাব দেন হেযবুত তওহীদের এই নেতা।

ইসলামের স্বর্ণযুগে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, রসুলের যুগে নারীরা মসজিদ থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত গিয়েছেন। তারা শালীনতার সাথে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে নারীদের ঘরবন্দী করেছে। ইসলাম নারীদের যে অধিকার মর্যাদা দিয়েছে তা হরণ করেছে। সকল মজলুম, অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের প্রকৃত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হেযবুত তওহীদের আগমন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বক্তা। এসময় তিনি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আরও অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশ দেন।

বিভাগীয় কর্মী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ জেলা নারী সম্পাদিকা সাথী আক্তার পলি, নুসরাত জাহান পলি, পাপিয়া আক্তার, সুরমা আক্তারসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Continue Reading