Connecting You with the Truth

হ্যাকিং প্রতিরোধ সমস্যায় ৩ পদক্ষেপ

hacker
রকমারি ডেস্ক:
প্রযুক্তির এই যুগে দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলোর একটি এখন হ্যাকিং। ব্যাংকিং-ইন্সুরেন্সের ডেটা থেকে শুরু করে নিজের ঘরে তোলা সেলফিও এখন নিরাপদ নয় হ্যাকারদের হাত থেকে। অ্যাপল, মাইক্রোসফট আর গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাঘা বাঘা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররাও পারছেন না সাধারণ ব্যবহারকারীদের ডেটার ১০০ ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এমন অবস্থায় নিজের নিরাপত্তা বাড়াতে তৎপর হতে হবে খোদ ব্যবহারকারীকেই। একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর পক্ষে হয়ত নিজের জন্য সাইবার দূর্গ গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তারপরও ছোট কিছু পদক্ষেপেই নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব অনেকখানি।
একই পাসওয়ার্ড বারবার না দেওয়া:
একই পাসওয়ার্ড একাধিক জায়গায় ব্যবহার করলে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকখানি। হ্যাকাররা যখন ব্যবহারকারীর একটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বের করে ফেলে, সঙ্গে সঙ্গেই তারা এ পাসওয়ার্ড দিয়ে ওই ব্যবহারকারীর অন্য অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করার চেষ্টা করে। ফলে কয়েক জায়গায় এক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। একই পাসওয়ার্ড সামান্য এলোমেলো করে ব্যবহার করাও বিপজ্জনক। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা আপনার ‘চালাকি’ ধরতে না পারলেও শক্তিশালী একটা ক¤িপউটারের পক্ষে সেই ‘রহস্য’ উদঘাটন কঠিন কোনও কাজ নয়। তাই ব্যবহার করুন ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড। সম্ভব হলে ¯েপস, সংখ্যা, ছোট-বড় অক্ষর মিলিয়ে তৈরি করুন আপনার পাসওয়ার্ড।
‘টু-স্টেপ অথেনটিকেশান’:
ব্যক্তিগত ডেটার নিরাপত্তা অনেকখানি বাড়াতে পারে ‘টু-স্টেপ অথেনটিকেশান’ পদ্ধতি। যেমন ধরুন আপনি সাধারণত বাসা থেকে ফেইসবুক ব্যবহার করেন। তবে কোনও কারণে আপনাকে বাসার বাইরের কোনও ক¤িপউটার থেকে লগ ইন করতে হবে। এসময় নতুন ক¤িপউটার ব্যবহারের জন্য আপনাকে দুটি ধাপে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। ‘টু-স্টেপ অথেনটিকেশান’ এর অংশ হিসেবে আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে একটি ট্রাস্টেড ডিভাইস, প্রয়োজন হতে পারে আপনার ফোন নম্বর। নতুন ক¤িপউটার থেকে ফেইসবুকে লগ ইন করার চেষ্টা করলে আগে থেকে ঠিক করা ওই ‘ট্রাস্টেড ডিভাইস’ বা ফোন নম্বরে চলে আসবে বিশেষ একটি মেসেজ। সাধারণত ৬ ডিজিটের কোড থাকে মেসেজগুলোতে। নতুন ক¤িপউটার থেকে লগ-ইন করার জন্য ওই কোড দিয়েই নিশ্চিত করতে হবে আপনার পরিচয়। ‘টু-স্টেপ অথেনটিকেশান’ ঝামেলা মনে হলেও নিরাপত্তার খাতিরে কাজটি করাই ভালো। আর ‘টু-স্টেপ অথেনটিকেশান’ সুবিধা না থাকলে পাল্টে নিন আপনার ব্যাংক, ইমেইল সেবাদাতা এবং
অনলাইন ডেটা স্টোরেজ।
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন:
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারগুলো দিয়ে একজন ব্যবহারকারী একাধিক শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করে প্রয়োজন মতো গুছিয়ে রাখতে পারবেন। অ্যার সফটওয়্যারটিতে পাসওয়ার্ডগুলো এনক্রিপ্টেড হয়ে থাকে। সবগুলো এনক্রিপ্টেড পাসওয়ার্ড অ্যাকসেস করার জন্য প্রয়োজন হয় খুবই শক্তিশালী একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড যা কেবল ব্যবহারকারীর কাছেই থাকবে। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার দিয়ে নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি এবং র্ট্যাক করা যায় সহজেই। পাসওয়ার্ডগুলো কতটা শক্তিশালী বা নিরাপদ সেটা যাচাই করার জন্য আছে ‘পাসওয়ার্ড অডিট’ সুবিধা। বহুল ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে উধংযষধহব, ১চধংংড়িৎফ এবং খধংঃচধংং উল্লেখযোগ্য।

Comments
Loading...