১৪ বছর ধরে অনশনরত ছানু শার্মিলার মুক্তি
ভারতের মনিপুর রাজ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়ে করা সরকারি একটি আইন বাতিলের দাবিতে ১৪ বছর ধরে অনশনরত মানবাধিকারকর্মী আইরম ছানু শার্মিলাকে (৪২) আটকাদেশ থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় একটি আদালত।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মনিপুর রাজ্যে মোতায়েন থাকা সেনাবাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন চালুর প্রতিবাদে ২০০০ সাল থেকে অনশন করে আসছেন শার্মিলা। ওই অনশনকে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ অভিযোগ করে ২০০২ সালে তাকে পুলিশ আটক করে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার তার আইনজীবী মানি খাইদেম বলেন, “আদালত তাকে মুক্তি দিয়েছে। অনশন করার কারণে ছানুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা যায় না বলে বিচারক মত দিয়েছেন।”
তবে শার্মিলার সমর্থকরা বলে আসছেন, তিনি (শার্মিলা) আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন না, বরং সরকারি একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছেন।
মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলের একটি সরকারি হাসপাতালে আটক রাখা হয় মানবাধিকারকর্মী শার্মিলাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সেখানে কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি। নাকে নল ঢুকিয়ে হাসপাতালে তরল খাবার খাওয়ানো হয়েছে শার্মিলাকে।
এনডিটিভি জানায়, ২০০০ সালে মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলে সামরিক বাহিনীর গুলিতে ১৪ নাগরিক নিহত হওয়ার পরই সশস্ত্র বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দিয়ে করা আইনটির প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন শার্মিলা।
তার মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেছেন, শর্মিলা শেষ পর্যন্ত যে ন্যায়বিচার পেলেন তাতে মানবাধিকারের জন্য তার অনশন একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ হিসাবেই স্বীকৃত হল।