১৯ বছর পর শৈলকুপা থানা আ. লীগের সম্মেলন হলেও ঘোষিত হয়নি কমিটি
জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ:
অবশেষে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বৃহস্পতিবার বিকালে শৈলকুপা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও ঘোষিত হয় নি কোন কমিটি। সভাপতি, সম্পাদক বা কোন আহ্বায়ক কমিটিও ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে নেতৃবৃন্দ। শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবর আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি।
বহুল আলোচিত এই সম্মেলনে এবার সভাপতি পদে শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা প্রার্থী ছিলেন, তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু, ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন মোল্লা ও যুবলীগ নেতা রানাউজ্জামান বাদশা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বর বিকালে সম্মেলনের প্রথম পর্ব আলোচনা সভা শেষে সমাপ্ত হয়ে যায় কাঙ্খিত সম্মেলন। তখন হঠাৎ করেই উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলরদের মধ্যে হতাশার ছাপ দেখা দেয়। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দূর দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকরাও হতাশ হয়। মূলত সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক ত্যাগী, প্রবীণ ও তরুণ নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ দেখা দেয়। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি আব্দুল হাই সম্মেলনের প্রার্থীদের নামের তালিকা নিয়ে গেছেন এবং জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কমিটি চলতি মাসের ২৭ তারিখে ঘোষণা করা হবে বলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী রানাউজ্জামান বাদশা জানান, সম্মেলন হলেও কোন কমিটি ঘোষিত হয় নি তবে জেলা নেতৃবৃন্দ বলছে ২৭ মার্চ কমিটি ঘোষণা হবে। প্রার্থীরা তাতে সম্মতি দিয়েছে বলে তিনি জানান।
বহুল আলোচিত এ সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আজিজুর রহমান। সম্মেলন পরিচালনা করেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার মোশারফ হোসেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে শৈলকুপা থানা আওয়ামী লীগের শেষ সম্মেলন হয়। তারপর কেটে গেছে ১৯ বছর। আসে নি কোন নতুন নেতৃত্ব, তৈরি হয় নি শক্তিশালী সংগঠন। যা নিয়ে আলোচনা আর সমালোচনার কমতি ছিল না বছরের পর বছর।