Connecting You with the Truth

৩ সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে কামাল মজুমদারের মামলা

kamal-mojumder-2স্টাফ রিপোর্টার:
মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ ও ডেইলি সানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকার মিরপুরের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার। বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে তিনি তিনটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট ছয়টি মামলা করেন। ঢাকা-১৫ আসনে কামাল মজুমদারের উদ্যোগে গঠিত সালিসি আদালতের কার্যক্রম নিয়ে এই সংবাদপত্রগুলো প্রতিবেদন ছাপিয়েছিল; যাতে বলা হয়েছিল, প্রচলিত আদালতের মতোই বিচার হচ্ছে সেখানে। মামলাগুলোতে বিবাদী করা হয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক কামরুল হাসান, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সানের সম্পাদক আমির হোসেন এবং  প্রতিবেদক তোফাজ্জেল হোসেন রুবেলকে।  কামাল মজুমদার মুখ্য মহানগর হাকিমের  আদালতে তিনটি মামলা করেন মানহানির অভিযোগ এনে, ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে যুগ্ম জেলা জজ  আদালতে অন্য তিনটি মামলা (মানি স্যুট) করেন তিনি। কালের কণ্ঠ ও ডেইলি সানের বিরুদ্ধে মামলা দুটিতে মহানগর হাকিম  মোল্যা সাইফুল ইসলাম এবং প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলায় মহানগর হাকিম  এস এম আশিকুর রহমান বাদীর জবানবন্দি নেন। দুই আদালতই আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে তিনটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে গোয়েন্দা  পুলিশের উপ-কমিশনারকে  (ডিসি, ডিবি)  নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালতের এপিপি জানিয়েছেন। প্রথম আলোর অন্যতম আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে কামাল মজুমদারের  দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলায় বাদী পক্ষে সরকার নির্ধারিত কোর্ট ফি দাখিল করা হয়নি বলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর তা দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক। আর প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে কালের কণ্ঠ এবং ডেইলি সানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলায় বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়াও ওই দিনের মধ্যে বাদীকে কোর্ট ফি দাখিলের নির্দেশ দেন। কোর্ট ফি দাখিলের পর বিবাদীদের সমন পাঠানো হবে বলে জানান আদালতের সেরেস্তাদার এম এ রশীদ। গত ১৮ অগাস্ট কালের কণ্ঠ ও ডেইলি সানে ‘কামাল মজুমদারেরর ব্যক্তিগত আদালত’ এবং ১৭ অগাস্ট প্রথম আলোয় ‘সাংসদের দপ্তরে আদালত’ শিরোনামের সংবাদে ছাপা হয়। ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামাল মজুমদার বলছেন, এতে তার মানহানি হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংবাদপত্রে প্রতিবাদও পাঠিয়েছিলেন এই সংসদ সদস্য। সেখানে তিনি দাবি করেন, এই ধরনের সালিশি ব্যবস্থাকে তিনি সঠিক মনে করেন। তবে আইনবিদদের উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রগুলো বলছে, ওই সালিশি ব্যবস্থায় আদালতের মতোই নোটিস দেয়া, সিদ্ধান্ত দেয়া চলত; যা বেআইনি।

Comments
Loading...