জাতীয়
৫০ কোটি টাকার ইউরেনিয়াম সদৃশ বস্তুসহ আটক ১১

Published
8 years agoon
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর বনানীতে পাচারকারী চক্রের হাত থেকে ৫০ কোটি টাকার ইউরেনিয়াম জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচারকারী চক্রের ১১ সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। তারা হলেন মো. ময়নাল হোসেন সাগর (৪৫), মো. হুমায়ুন কবির (৪৮), মো. কাইয়ুম চৌধুরী (৫৪), মো. কায়েশ আহম্মেদ (৫৪), মো. খালেক (৪৪), মো. স্বপন মোল্লা (৪৫), মো. ফিরোজ (৪৫), মো. মাহফুজুর রহমান নাসিম (৪২), মো. আসলাম মিয়া (৬১), মো. মইন উদ্দিন সরোয়ার রাজন (৩৫) ও মো. তোফায়েল আহমদ পাটোয়ারী (৪৮)। কথিত ইউরেনিয়াম আটক মো. আসলাম মিয়ার বনানীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায়। তিনি জানান, একটি প্রতারক চক্রের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বনানী থেকে একটি চামড়ার বক্সে কথিত ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। এর ওজন দুই পাউন্ড। এর সঙ্গে একটি রেডিয়েশন প্র“প জ্যাকেট ও রাশিয়ার একটি ক্যাটালগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তাপমাত্রা মাপক, রেডিয়েশন যন্ত্র, হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করা হয়েছে। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আমরা এখনও নিশ্চিত নই এ পদার্থ ইউরেনিয়াম কিনা । পরীক্ষা করার পরই নিশ্চিত বলা হবে। তিনি জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ছয়মাস আগে তাদের কাছে বক্সটি আসে। তারা বিভিন্ন ক্রেতাদের বস্তুটি ভিডিও করে দেখাতো। যাদের ভিডিও পছন্দ হতো, তাদের বনানীর ওই বাসায় নেওয়া হতো। এরপরই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ধানমণ্ডি থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই ঘটনার সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ইউরেনিয়াম সাধারণত পারমাণবিক চুল্লি ও আণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ঢাকার বাইরে থেকে ৬ মাস আগে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে বক্সটি তারা সংগ্রহ করে। বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বক্সটি বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে জানান ওই ব্যক্তি। কথিত ইউরেনিয়াম বক্সটির গায়ে ইংরেজিতে ‘ইউরেনিয়াম অ্যাটোমিক ওয়েট-২২২.০৭ (এ)’ লেখা রয়েছে। ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে ইউরেনিয়াম বিক্রির জন্য কেউ অনুমোদিত নয়। তবে এটি আসল কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে।” উল্লেখ্য, রাজধানীর আণবিক শক্তি কমিশন এবং বিসিএসআইআর-এ এটি পরীক্ষা করা যায়। এটি আসল কিনা আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল জানা যেতে পারে।
You may like

সারাদেশে ২০২২ সালে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এই সমীক্ষার তথ্য বলছে, আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৪০ জন বা ৬৪ শতাংশই স্কুল পর্যায়ের।
এছাড়া কলেজ পর্যায়ে ১০৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। সমমান প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী রয়েছেন ৫৪ জন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৮৬ জন শিক্ষার্থী এই এক বছর আত্মাহুতি দিয়েছেন বলে উঠে এসেছে আঁচলের সমীক্ষায়।
শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা: সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের টিম লিডার ফারজানা আক্তার লাবনী জানান, দেশের দেড় শতাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে শিক্ষার্থীদের আত্মহননের তথ্য নেওয়া হয়েছে তাদের এই সমীক্ষায়।
আত্মহত্যায় শীর্ষে ঢাকা-
দেশের আট বিভাগে আত্মহত্যা করা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, যা মোট আত্মহত্যার প্রায় ২৩.৭৭ শতাংশ।
আত্মহত্যায় এগিয়ে নারী শিক্ষার্থীরা –
আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন বলছে, আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি।
আত্মহত্যা করা স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩.৯০ শতাংশ, অর্থাৎ ২৮৫ জনই মেয়ে; বাকি ১৬১ জন, অর্থাৎ ৩৬.১ শতাংশ ছেলে।
বয়ঃসন্ধিকালে ঝুঁকি বেশি-
সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
২০২২ সালে যে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করেছে, তাদের মধ্যে ৪০৫ জন বা ৭৬.১২ শতাংশই টিন এজার। তাদের মধ্যে ৬৫.৯৩ শতাংশ মেয়ে; ৩৪.০৭ শতাংশ ছেলে।
আবার আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের ৪৩ জন বা ৮.০৮ শতাংশের বয়স ছিল ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে ৪৬.৫২ শতাংশ মেয়ে। আর ছেলেদের সংখ্যা তার চেয়েও বেশি, ৫৩.৪৮ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সাথে শিক্ষার্থীদের মানিয়ে নিতে প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে হয়, সে কারণে ওই বয়সে আত্মহত্যার হার বেশি।
আত্মহত্যার কারণ-
আঁচলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মহত্যাকারী স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের তথ্যে জীবদ্দশায় তাদের নানা ধরের জটিলতার মুখোমুখি হওয়ার বিষয় এসেছে। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এ পথ বেছে নিয়েছে ‘মান-অভিমান’ থেকে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
তবে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে আরো বেশ কিছু বিষয় এসেছে প্রতিবেদনে।
আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ৪ জন, শিক্ষকের হাতে ‘অপমানিত’ হয়ে ৬ জন, গেইম খেলতে বাধা দেয়ায় ৭ জন, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ২৭ জন, মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় ১০ জন, মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় ৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে তথ্য এসেছে সমীক্ষায়।
আশা জাগাচ্ছে সরকারি পদক্ষেপ-
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটনার আশা জাগছে। এর মধ্যে একটি হল মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন। এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ফার্স্ট এইড (পার্ট-১)’ নামের একটি অনলাইন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি-২০২২ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। প্রত্যেক জেলায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জন্য একজন করে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। ২০২৩ সালে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ বইটিতে মনের যত্ন নেওয়ার একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা তরুণ প্রজন্মকে মানসিকভাবে তৈরি হতে সহায়তা করতে পারে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, শিশু কিশোরদের মন হয় ‘ভঙ্গুর প্রকৃতির’। এ বয়সে ছোট ছোট বিষয়গুলোও তাদের আন্দোলিত করে। বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক বিকাশের সাথে অনেকেই খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে প্রত্যাশার ক্ষেত্রে ছোটখাটো ঘাটতিও তাদের আত্মহত্যার মত বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।
“আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমাদের শিক্ষক এবং বাবা মায়েদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুকালে বাচ্চাদের উপর বাবা মায়ের প্রভাব যেমন বেশি থাকে, কৈশোরে সেই দায়িত্ব বর্তায় শিক্ষকদের উপর। তাই শিক্ষার্থীদের মানসিক গঠনে তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যও বেশি।
তিনি বলেন, স্কুল ও কলেজ শিক্ষকরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো শুনে মেন্টরের ভূমিকা পালন করতে পারেন।
“আমাদের মনে রাখতে হবে, এই বয়সে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক পরামর্শ পাওয়ার জায়গা অপ্রতুল।”
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট শাহরিনা ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২২ সালের এই জরিপে দেখা যাচ্ছে, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা অনেক বেশি।
“এ সময়ে কিশোর কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। রোগী দেখার সময় আমি দেখেছি, কোভিড-১৯ এর একটি বড় প্রভাব পড়েছে আমাদের কিশোর বয়সীদের ওপর, যা কাটিয়ে উঠতে এখনো আরো সময়ের প্রয়োজন।
“সর্বোপরি বয়সন্ধিকালীন মনের যত্ন বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার সুযোগ ভীষণ প্রয়োজন। স্ক্রিন বা মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারিবারিক বন্ধন, পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটানোর চর্চা বাড়াতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই আত্মবিশ্বাসী এবং সুস্থ মনন গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপগুলো অনস্বীকার্য।”
আঁচলের প্রস্তাব-
১. হতাশা, একাকিত্ব ও নেতিবাচক ভাবনা থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ বৃদ্ধি করা।
২. সন্তানদের মানসিক বিকাশ এবং তাদেরকে সহানুভূতির সাথে শুনতে ও বুঝতে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিং কার্যক্রম চালু করা।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক-কর্মচারীদের আচরণ ও পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ণে কৌশলী ও সহানুভূতিশীল হতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৪. স্কুল, কলেজ পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধী পোস্টার প্রদর্শন করা।
৫. প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবারের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ও দায় বৃদ্ধিতে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতার অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. স্কুল-কলেজের ছাত্রকল্যাণ ফান্ডের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে তা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা সমাধান অনেকাংশে সম্ভব। এতে আর্থিক সংকটজনিত আত্মহত্যার হার কমে আসবে।
৭. প্রেম-প্রণয় ঘটিত সম্পর্কে বা অজ্ঞাতসারে ধারণ করা গোপন ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রচার তথা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ ও সাইবার ক্রাইমের বিষয়ে শাস্তি উল্লেখপূর্বক বিশেষ প্রচারণাভিযান পরিচালনা করা।
৮. স্কুল-কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা সতর্কতা চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। এর মধ্য দিয়ে সম্ভাব্য আত্মহত্যাকারীকে বাঁচানো যাবে।
৯. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেন্টাল হেলথ কর্নার খোলা। শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তির আওতায় এনে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ট্রেনিং দেওয়া।
১০. কার্যকর মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্লিনিক্যাল সুবিধার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
১১. শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্য্যশীলতার পাঠ শেখানো ।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদসূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
জাতীয়
নারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন

Published
6 days agoon
জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে হেযবুত তওহীদের নারী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, হেনস্থা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৩) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের নারী বিভাগের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডাক্তার মাহবুব আলম মাহফুজ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক দিল আফরোজ, কেন্দ্রীয় তথ্য বিভাগের সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক উপ-সম্পাদক ইলা ইয়াসমিন, আয়েশা সিদ্দিকা ও আফরোজা মুনির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, ধর্মব্যবসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী ইসলামের সঠিক আদর্শ তুলে ধরছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাংবিধানিক ও ধর্মীয় অধিকার বলে তারা তাদের এই সাংগঠনিক কার্যক্রম ও প্রচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, একটি সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠী বরাবরই এই কাজে হেযবুত তওহীদকে বাধা দিয়ে আসছে। সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীটির দ্বারা বারবার আক্রান্ত হয়েছে। ধর্মের লেবাসধারী এই গোষ্ঠীটি হেযবুত তওহীদের উপর হামলা, ভাঙচুর, মারধর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডও ঘটিয়েছে। এমনকি হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যরাও তাদের হাত থেকে নিরাপদ নয়।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর সাম্প্রতিক কিছু হামলার ঘটনা তুলে ধরেন এবং এসব ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এসময় হেযবুত তওহীদের উপস্থিত নারী সদস্যরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত হেযবুত তওহীদ নেতৃবৃন্দের উত্থাপিত দাবিসমূহ হচ্ছে- (১) হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর হামলা, হয়রানি, হেনস্তার সাথে জড়িত উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটিকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। (২) প্রতিটি জেলা-উপজেলায় হেযবুত তওহীদের কার্যালয়, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা, হেযবুত তওহীদের সকল সদস্যদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। (৩) হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা চলছে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করত হবে। (৪) জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদের চলমান কর্মসূচি সমূহকে সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
Highlights
নারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন

Published
6 days agoon
জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে হেযবুত তওহীদের নারী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, হেনস্থা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৩) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের নারী বিভাগের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডাক্তার মাহবুব আলম মাহফুজ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক দিল আফরোজ, কেন্দ্রীয় তথ্য বিভাগের সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক উপ-সম্পাদক ইলা ইয়াসমিন, আয়েশা সিদ্দিকা ও আফরোজা মুনির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, ধর্মব্যবসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী ইসলামের সঠিক আদর্শ তুলে ধরছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাংবিধানিক ও ধর্মীয় অধিকার বলে তারা তাদের এই সাংগঠনিক কার্যক্রম ও প্রচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, একটি সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠী বরাবরই এই কাজে হেযবুত তওহীদকে বাধা দিয়ে আসছে। সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীটির দ্বারা বারবার আক্রান্ত হয়েছে। ধর্মের লেবাসধারী এই গোষ্ঠীটি হেযবুত তওহীদের উপর হামলা, ভাঙচুর, মারধর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডও ঘটিয়েছে। এমনকি হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যরাও তাদের হাত থেকে নিরাপদ নয়।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর সাম্প্রতিক কিছু হামলার ঘটনা তুলে ধরেন এবং এসব ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এসময় হেযবুত তওহীদের উপস্থিত নারী সদস্যরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত হেযবুত তওহীদ নেতৃবৃন্দের উত্থাপিত দাবিসমূহ হচ্ছে- (১) হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর হামলা, হয়রানি, হেনস্তার সাথে জড়িত উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটিকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। (২) প্রতিটি জেলা-উপজেলায় হেযবুত তওহীদের কার্যালয়, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা, হেযবুত তওহীদের সকল সদস্যদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। (৩) হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা চলছে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করত হবে। (৪) জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদের চলমান কর্মসূচি সমূহকে সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ8 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস