Connect with us

জাতীয়

৭ মাসে ইয়াবা সেবন বেড়েছে ৪৭ শতাংশ

Avatar photo

Published

on

yabam picস্টাফ রিপোর্টার:
দেশে আবারও বেড়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাÍ। চলতি বছরের শুরুতে কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চালায় র‌্যাব-পুলিশ। এরপর র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে তালিকাভুক্ত দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হলে অন্যরা গা-ঢাকা দেন। এর পর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েন তারা। এর ফলে বেড়ে যায় ইয়াবার মূল্য। তবে কয়েক মাস পরই আগের অবস্থা ফিরে আসে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ইয়াবা সেবন ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। সূত্রমতে, বর্তমানে কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, চট্টগ্রামসহ মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পিস ইয়াবা আসছে রাজধানীতে। ব্যাপকভাবে চাহিদা বাড়ায় মূল্যও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। গত ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে দেশে এনেছেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেও তারা একই রকম প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন ইয়াবার চালান রাজধানীতে আসছে পাজেরোর মতো বিলাসবহুল গাড়িতে। কোরিয়ারের পার্সেলে করে ছোট ছোট চালান পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিক্রেতাদের হাতে। পরিবহণের ঝুঁকি এড়াতে কোনো কোনো কারবারি রাজধানী ও চট্টগ্রামে ইয়াবা তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন। পুলিশ, র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ফের তৎপর হওয়ার খবরে অভিযানে নেমেছে সংশ্লিষ্টরা। গত দুই দিনে অভিযান চালিয়ে ৫৭ হাজার ইয়াবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ডিএনসি। আবদুল্লাহ জোবায়ের নামের এক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী পাজেরো গাড়িতে করে কক্সবাজার থেকে নিয়ে আসেন ইয়াবার চালান। শুধু তাই নয়, রাজধানীর নিকেতন এলাকায় আবাসিক বাড়িতে ইয়াবা তৈরির সরঞ্জামও এনেছেন তিনি। র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ইয়াবা ব্যবসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ঈদ সামনে রেখে তারা আবার অপতৎপরতা শুরু করেছে। আমারও নজরদারি বাড়িয়েছি।” ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ইয়াবা আনার পথে ঝুঁকি এড়াতে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা এখন ঢাকায় কারখানা গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। গ্রেপ্তার হওয়া জোবায়ের আগে চট্টগ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ইয়াবা তৈরি করেছেন। সেখানে সফল হওয়ার পর তারা ঢাকাতেই ইয়াবা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন। ডিবির উপকমিশনার (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, জোবায়ের নামে কক্সবাজারের এক ইয়াবা ব্যবসায়ী প্রতি মাসে চার-পাঁচটি ইয়াবার চালান ঢাকায় আনতেন। প্রতি চালানে কমপক্ষে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা থাকতো। প্রতি পিস ইয়াবা কক্সবাজার সীমান্তে তারা কেনেন ১৩০ টাকায় এবং ঢাকায় পাইকারি বিক্রি করেন ১৮০ টাকায়। তবে খুচরা ক্রেতা পর্যায়ে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট মানভেদে তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। প্রচুর লাভ হওয়ায় অনেক অসাধু ব্যক্তিই ইয়াবা ব্যবসায় ঝুঁকেছেন। জোবায়ের এরই মধ্যে গুলশানের নিকেতনে দুটি ফ্ল্যাট ও একটি পাজেরো কিনেছেন। বনশ্রীতে একটি ফ্ল্যাট কিনে বা ভাড়া নিয়ে সেখানে কারখানা করার পরিকল্পনা ছিল তার।
সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২ লাখ টাকাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-১০ এর মেজর তৌফিকুল বারী বলেন, “দলনেতা হেলালের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফের পশ্চিম লেদায়। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে এরা ঢাকায় ঢোকে। এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয় হেলাল। তিনি ঢাকার একটি বাসায় ইয়াবা মজুদ করে তা সারা দেশে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। এরা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বছরের বিভিন্ন সময় ইয়াবার বড় বড় চালান ঢাকায় আনে। ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে এরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। এর পরপরই সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি পার্সেলের ভেতরে সাড়ে চার হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেন র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। সম্প্রতি কমলাপুর থেকে তিনটি ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়।” ডিএনসির অতিরিক্ত পরিচালক আবু তালেব বলেন, “মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে ছড়িয়ে দেয়া মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। এ তালিকা ধরে র‌্যাব-পুলিশ কক্সবাজার-টেকনাফে ব্যাপক অভিযান চালায়। এরপর অনেক ব্যবসায়ী গা-ঢাকা দেন। এ বছরের শুরুতে র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিয়ের ঘটনায় তালিকাভুক্ত দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহতও হয়েছেন। তবে সম্প্রতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এসব চক্র।”
ডিএনসির এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১২ সালে দেড় হাজার শতাংশের বেশি ইয়াবা সেবন বেড়েছে। একই হারে বিক্রি বেড়েছে। ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে তা বেড়েছে ৩২ শতাংশের বেশি। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। ২০০৯ সাল থেকেই বাংলাদেশ ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারত ও গোল্ডেন ট্রায়েঙ্গেল এর শীর্ষ স্থানীয় গডফাদাররা ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণেই মাদক ব্যবসার জন্য ট্রানজিট হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছেন। র‌্যাব-পুলিশের তথ্যমতে, মিয়ানমার থেকে এক পিস ইয়াবা ৭৫ টাকা কিনে দেশে ঢোকার পরই সর্বনিন্ম পাঁচশ’, সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

কর্মচারী ‘নয়ন সিন্ডিকেটের’ দাপটে তটস্থ রমেক হাসপাতাল

Avatar photo

Published

on

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রকেম) হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের হয়রানি নতুন কিছু নয়। বিষয়টি সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী, রোগীর স্বজন, চাকুরি প্রত্যাশীদের হয়রানি, কথায় কথায় হাসপাতালের নিরীহ কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি, হাসপাতাল প্রশাসনকে দাপটের সাথে দাবিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ‘নয়ন সিন্ডিকেট’র বিরুদ্ধে।

জানা যায়, নয়ন সিন্ডিকেটের প্রধান নয়ন হাসপাতাল থেকে বরখাস্ত হলেও ‘কর্মচারি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড’ এর সাধারণ সম্পাদক এর পদ ব্যবহার করে সব পর্যায়ের কর্মকাণ্ডকে জিম্মি করে রেখেছে। তার বিস্তর অপরাধের কাহিনী এখন ভুক্তভোগীসহ চিকিৎসাসেবীদেরও মুখে মুখে। এদের দৌরাত্মের নিকট অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন স্বয়ং হাসপাতালের বিদায়ী পরিচালক ডা. শরিফুল হাসানও। এক সাক্ষাতকারে এই নয়ন সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সূত্র জানায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০টি ওয়ার্ড রয়েছে। যার প্রতিটি ওয়ার্ডে বহিরাগত লোকবল নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছে ওষুধের দালালিসহ সরকারি বরাদ্দকৃত ওষুধ ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি চুরি করার মোটা কমিশন হাতিয়ে নেয় নয়ন সিন্ডিকেট। এমন কি নয়নের সিন্ডিকেটের সদস্যরা হাসপাতালের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বহিরাগত মাদকসেবীদের দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডিউটি করান। যেসব মাদকসেবীদের দিয়ে অবৈধভাবে ডিউটি করান দিন শেষে তাদের হাজিরা না দিয়ে উল্টো তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় সারাদিনের কু-কর্মের ভাগ বাটোয়ারার হিস্যা।

সেবাগ্রহীতা, স্বজন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নয়ন ও তার গ্রুপের লোকেরা একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজদের সামান্য বিষয় নিয়ে লাঞ্ছিত, রোগী ও চিকিৎসাসেবীদের সাথে দুর্ব্যবহার, ওষুধ-সরঞ্জামাদি চুরি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এছাড়ও হাসপাতাল প্রশাসনকে দাপটের সাথে দাবিয়ে রাখাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা নয়ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংঘঠিত হয় না। বরখাস্ত হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালের কর্মচারি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এর খুঁটির নামে হাসপাতালের সব পর্যায়ের কর্মকাণ্ডকে জিম্মি করে রাখছে তার সিন্ডিকেট। প্রতিনিয়ত এই সিন্ডিকেটের নানামুখি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অসহায় ও উদ্বিগ্ন রমেক কর্তৃপক্ষও। এদের হয়রানি ও অত্যাচারের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না বলেও জানান অনেক ভুক্তভোগী।

আরও জানা যায়, নয়ন চাঞ্চল্যকর হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি। হাসপাতালেও অভ্যন্তরে হত্যা, হত্যার উদ্দেশে মারপিট, গুরুত্বর জখম, চুরি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের হোতা ও হুকুমদাতার অপরাধে আসামী নয়নের বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিনের কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও নানাবিধ ন্যাক্কারজনক অপরাধ অব্যাহতভাবে সংঘটিত করে আসছে এরা। নয়ন সিন্ডিকেটের এমন অপকর্ম রোধে দক্ষ প্রশাসনিক দায়িত্বের কোনো পরিচালক রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে বেশিদিন টিকতে পারেন না বলে একটি কথা এখন কর্মচারীদের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি বদলি হওয়া রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান সরকারের নির্দেশে হাসপাতালে আউর্সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কিছুসংখ্যক জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। বিদায়ী ওই পরিচালককে সেই নিয়োগ নয়ন সিন্ডিকেট মনোনীত ঠিকাদারকে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন যা বিধিবহির্ভূত হওয়ায় হাসপাতাল প্রশাসন তা মানেন নি। পরে তাদের মনগড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জনবল নিয়োগ বানিজ্যের সুযোগ করে না দেয়ায় সেই সূত্রপাত ধরে তৎকালীন পরিচালকের বিষয়ে নানা মিথ্যা অপবাদ তুলে অযৌক্তিক আন্দোলনের ধোয়া তুললে পরিচালক বদলি হন।

কথা বলতে চাইলে বিদায়ী পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান টেলিফোনে জানান, ‘যুদ্ধে আমি পরাজিত সৈনিক। অনেক চেষ্টা করেও রমেক হাসপাতালের দীর্ঘদিন থেকে গড়ে ওঠা দুর্নীতিবাজ অপশক্তি নয়ন সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছি। যতদিন এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে হাপাতালকে মুক্ত করা না হবে, ততোদিন উত্তরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্ছিত হতেই থাকবে।’

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে বরাদ্দ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নয়ন একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়ে কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ রমেক ক্যাম্পাসের ১০নং কোয়ার্টারে থাকেন কিভাবে? এছাড়াও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) সহ গৃহস্থালি নানা রকম ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে সরকারি বিদ্যুৎ অপচয় করছেন নির্বিঘ্নে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে কর্মচারীদের মধ্যেও কানাঘোষা চলছে কিছুদিন ধরে।
এ বিষয়ে রমেক হাপাতালের কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নয়ন এর সাক্ষাতকার নিতে চাইলেও তাদের দেখা মেলেনি। পরে টেলিফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে অসুস্থতার কথা বলে ফোন কেটে দেন নয়ন। কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি শাহিনের সাথে রোববার (২৮ মে’ ২৩) তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে জিইয়ে রাখা অযুত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সময় ও সবার সহযোগিতা পেলে হাসপাতালের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন বলে তিনি আশাবাদী। তবে সংঘবদ্ধ নয়ন সিন্ডিকেটের ব্যাপারে বলেন, আমি সদ্য যোগ দিয়েছি। এখনও ভালো করে বুঝে উঠতে পারিনি। যথাযথ অভিযোগ পেলে দায়িদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Continue Reading

Highlights

শেরপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী কর্তৃক আদালতে দায়ের করা যৌতুক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। ২৭ মে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পোড়ার দোকান‘থই থই কফি পার্ক’ এ ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে জানায়, আমি একজন নিরিহ ও সহজ সরল মানুষ। জনগন আমাকে উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম হজব্রত পালনের জন্য সৌদি যাবার প্রাক্কালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য গত ১৫ মে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা এবং আমার মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মাত্র ৩ ভোট পেয়ে আমার সাথে পরাজিত হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই আমাকে এবং উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং আমাকে নানা ভাবে হয়রানী করার হুমকি দেন।

এসময় শাপলা আমাকে হুমকি দিয়ে জানায়, আমি একজন সাংবাদিক নেতাও, তাই আমাকে পরাজিত করার ফল পেতে হবে। এর পর ওই ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক শাপলা আমার পেছনে লেগে আছে। আমার স্ত্রী তানজিলা আক্তারের সাথে কিছু দিন যাবৎ বনিবনা হচ্ছিলো না। সেই সুযোগে ভাইস চেয়ারম্যান শাপলা আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে আমার বিরুদ্ধে ২৪ মে আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। এরপর শাপলা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের দিয়ে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করেন। সমাজে এতে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা নিজে একাধারে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এমপিও ভুক্ত একটি মাদরাসার শিক্ষক হয়ে সকল স্থান থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে অনিয়ম ও দুর্নিতির আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া তিনি জামায়াত পরিবারের সদস্য হয়ে আওয়ামীলীগে নাম লিখিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। তার মরহুম পিতা সুরুজ্জামান একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার ছিলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, এযাবৎ কালে আমার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ কার্মকান্ড ও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। স্থানীয় জনগনের সর্বদা পাশে থাকার কারণে এলাকায় আমি গরিবের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছি। অতএব আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সত্য প্রমান করতে পারবে না। আমার স্ত্রী একজন অর্থলোভি এবং ব্লেকমেইলার। সে আমাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল করার চেষ্টা করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করেছে। তাই আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যে সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।

অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শাবিহা জামান শাপলা সাংবাদিকদের জানায়, আমি ভাইস চেয়ারম্যান মিজানের স্ত্রীর বিষয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার শালিস-দরবার করেছি। সেকারণে তিনি ন্যায় বিচারের জন্য তার ¯^ামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রতিকার চেয়ে। সেজন্য আমি নারী নেত্রী হিসেবে তাকে সহযোগীতা করেছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অসত্য, ভিত্তহীন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের স্ত্রী তানজিনা আক্তার জানায়, আমি কারো প্ররোচনায় মামলা করিনি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগও মিথ্যে। ছবি সংযুক্ত

Continue Reading

জাতীয়

নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান সাংসদ সেলিমা আহমাদের

Avatar photo

Published

on

মোঃ প্রিন্স:
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবং নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ। তিনি শনিবার ২নং ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান।

তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সেলিমা আহমাদ আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু হবে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তরুণ প্রজন্মের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন তিনি।

জনাকীর্ণ এই আলোচনা সভায় উপস্তিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম ( সিনিয়র সহ-সভাপতি, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মেয়র, হোমনা পৌরসভা, কুমিল্লা), মোঃ মফিজুল ইসলাম (গনি) ( চেয়ারম্যান, ২নং ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ), মহিউদ্দিন খন্দকার (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ), গাজী মোঃ ইলিয়াছ (সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হোমনা), মোঃ মহাসিন সরকার ( ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, হোমনা, কুমিল্লা), মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মোছলেম)(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ), খন্দকার হান্নান মিয়া (সাংগঠনিক সম্পাদক, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ), নাছিমা আক্তার (রীনা) (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, হোমনা, কুমিল্লা), মোঃ শাহনুর আহমেদ (সুমন) (সভাপতি, হোমনা পৌর আওয়ামী লীগ), মোঃ জসিম উদ্দিন সওদাগর (চেয়ারম্যান, ৩নং দুলালপুর ইউপি), মোঃ জালাল উদ্দিন (চেয়ারম্যান, ৬নং নিলখী ইউপি), মোঃ ছাদেক সরকার (চেয়ারম্যান, ৭নং ভাষানিয়া ইউপি), মোঃ তাইজুল ইসলাম মোল্লা (চেয়ারম্যান, ১নং জয়পুর ইউপি), মোজাম্মেল হক (চেয়ারম্যান, ৪নং চান্দেরচর ইউপি), মোঃ শিব্বির আহম্মেদ(প্যানেল চেয়ারম্যান, ৫নং আছাদপুর ইউপি)।

Continue Reading