অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘রানা প্লাজা’
আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছেন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের রায় পর্যালোচনার একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
ফলে এখন চলচ্চিত্রটি সিনেমা হলে মুক্তি দিতে আর কোন বাধা নেই। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, এখন তারা খুব তাড়াতাড়ি সিনেমাটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করবেন।
ছবিটির প্রদর্শনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে গত ৬ অগাস্ট আদেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ওই আদেশ পর্যালোচনার আবেদন করা হলে, আদালত সেই আবেদনটি আজ খারিজ করে দিয়েছেন।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বিবিসিকে বলেন, সেন্সর বোর্ড আটকে দেয়ার পর হাইকোর্ট থেকে আমরা সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিলাম। কিন্তু মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও আরেকটি রিটের জবাবে হাইকোর্ট ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমাদের আবেদনে আপিল বিভাগ সেই নিষেধাজ্ঞাটি স্থগিত করেন। কিন্তু সেই আদেশ পর্যালোচনার আবেদন জানানো হলে, সেই আবেদনটিও আজ খারিজ হয়ে গেছে।
এর আগে একদফা মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর স্থগিত করা হয় এখন তারা খুব তাড়াতাড়ি চলচ্চিত্রটি মুক্তির একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে জানান। সাভারের রানা প্লাজা ধ্বস এবং ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া পোশাক শ্রমিক রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি বাণিজ্যিক ধারার প্রেমের সিনেমা এই ‘রানা প্লাজা’।
২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় যাদের অধিকাংশই ছিল পোশাক শ্রমিক।
এই ঘটনাকে নিয়ে ‘রানা প্লাজা’ই হতে যাচ্ছে প্রথম কোনো চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর