অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন সাঈদ খোকন

এই সময়ের মধ্যে তার সকল পোস্টার নিজ উদ্যোগে অপসারণ করতে বলা হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ সিটির আরো ১৫ কাউন্সিলর প্রার্থীকে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে অবস্থিত দক্ষিন সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এই দুই মেয়র প্রার্থী স্বশরীরে হাজির হন। এসময় তাদের আইনজীবীরাও সঙ্গে ছিলেন।
গত শুক্রবার পুরনো ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদে জুমা নামাজ আদায়কালে নির্বাচনী প্রচার চালানোর অভিযোগে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘণের অভিযোগ আনা হয়। রিটার্নিং অফিসার তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানাতে নোটিশ পাঠান।
রবিবার আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে নিজেই জবাব দিতে হাজির হন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে।
শুনানি শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার জানান, সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ১২ অনুযায়ী মসজিদ ও মন্দিরসহ সবধরণের ধর্মীয় উপসনালয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাঈদ খোকন ওই দিন মুসল্লীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি ভোট চাননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে দক্ষিণ সিটির আরেক মেয়র প্রার্থী মিলনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পোস্টার সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনিও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, তার দলের মহাসমাবেশ উপলক্ষে তিনি পুরো ঢাকা শহরেই পোস্টার লাগিয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল নির্বাচন হবে জুন-জুলাই মাসে। এত দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য তার প্রস্তুতি ছিল না।
তিনি বলেন, পোস্টার অপসারণের জন্য সময়ের প্রয়োজন। কারণ একটি পোস্টার লাগাতে ১০ সেকেন্ড লাগলেও তুলতে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় লাগে বলে তিনি মন্তব্য করেন।