Connecting You with the Truth

আজ প্রধান বিচারপতি সিনহা কানাডা যাচ্ছেন

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা কানাডা যাচ্ছেন! সিঙ্গাপুরে চিকিত্সা গ্রহণ শেষে তিনি আজ শুক্রবার কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কানাডায় প্রধান বিচারপতি সিনহার কনিষ্ঠ কন্যা বসবাস করেন।

গত ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি সিনহা। সেখানে তার বড় কন্যা সূচনা সিনহার বাসায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করেন। এরপর তিনি চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে আসেন। সেখানে চারদিন চিকিত্সা গ্রহণ শেষে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে তিনি দেশে না ফিরে আজ শুক্রবার কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে ওই সূত্র জানায়।

গত ৩ অক্টোবর এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। ওই ছুটির মেয়াদ শেষ না হতেই ১০ অক্টোবর ছুটির মেয়াদ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন তিনি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিচারপতি এসকে সিনহা দীর্ঘদিন বিচার কাজে থাকায় এবং অবসর গ্রহণের তারিখ নিকটবর্তী হওয়ায় মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত। মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গমন ও অবস্থান করতে চান।

এরপরই ১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান বিচারপতির বিদেশ গমন সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেন। পরদিন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি বর্ধিত ছুটিকালীন ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থানকালে অথবা পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

চলছে কথার লড়াই

এদিকে প্রধান বিচারপতি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের কথার লড়াই চলছে। গতকাল নিজ কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতির দেশে ফিরে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘তার দেশে ফেরা না ফেরা মূল বিষয় নয়। প্রধান বিচারপতির মূল কাজ বিচারকার্য পরিচালনা করা। কিন্তু উনার সঙ্গে তো আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা বসতে রাজি নন। তাহলে তিনি কিভাবে বিচারকার্যে বসবেন? এজন্য বারবারই বলছি, উনার পক্ষে ফিরে এসে বিচারকার্য পরিচালনা সুদূর পরাহত।

এর আগে বুধবার বার সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসলে অবমাননা হবে। তার এ ধরনের বক্তব্য সংবিধান ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী। আমরা বলতে চাই, যেখানেই থাকুক না কেন পদত্যাগ বা অবসরে না যাওয়া পর্যন্ত বিচারপতি এসকে সিনহাই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। তাকে নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবমাননাকর বলেও মন্তব্য করেন বার সভাপতি।

Comments
Loading...