আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকের আÍসমর্পণ, অতঃপর জামিন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ছয় দিনের মাথায় ঝালকাঠির আদালতে আÍসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ঝালকাঠি জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো: আরিফুজ্জামান গত কাল তার জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনে মঞ্জুর করে মতিউর রহমানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক আইনজীবীর করা মামলায় তিন দফা তলবে হাজির না হওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও পত্রিকাটিতে কর্মরত আলোকচিত্রী মজিদ খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরই প্রেক্ষিতে বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠির আদালতে উপস্থিত হন মতিউর রহমান। ২০ মিনিট পর মামলার শুনানি শুরু হয়। আইনজীবী আব্দুর রশীদ শিকদার ও মানিক আচার্য তার পক্ষে শুনানি করেন। জামিনের পর মতিউর রহমান বলেন, “এই মামলাটি মিথ্যা। মজিদ খান নামের কোনো আলোকচিত্রী প্রথম আলোয় নেই।”
কয়েকটি প্রতিবেদনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ এনে গত ৯ অক্টোবর এ মামলা দায়ের করেন মো: বণি আমিন বাকলাই নামের ওই আইনজীবী। মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের ১৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন বিচারক। ওই দিন হাজির না হওয়ায় পরে দুই দফায় ১১ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি হাজির হতে বললেও আসামিরা যাননি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আগামী ২২ ফেব্র“য়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৯৫ ও ২৯৮ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ধারায় অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে বিদ্বেষমূলক কোনো কাজ করলে দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। আর দণ্ডবিধির ২৯৮ ধারায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে বিদ্বেষমূলক শব্দ উচ্চারণ করলে এক বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।