আবদুল কালামের দাফন সম্পন্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও পরমাণুবিজ্ঞানী ‘মিসাইলম্যান খ্যাত’ এ পি জে আবদুল কালামের দাফন তার প্রিয় জন্মস্থান তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘জনতার রাষ্ট্রপতি’খ্যাত বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী আবদুল কালামের মরদেহ বুধবার একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে তার জন্মস্থান তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে নেওয়া হয়। শেষবারের মতো তাদের প্রিয় মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রামেশ্বরমের সড়কে হাজারো জনতার ঢল নামে।
দাফন অনুষ্ঠানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ হাজারো মানুষ।
মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের একটি হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ৮৪ বছর বয়সি এই পরমাণুবিজ্ঞানী। ‘বাসযোগ্য পৃথিবী’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট শিলংয়ে গিয়েছিলেন উইংস অব ফায়ার-এর রচয়িতা আবদুল কালাম। আবদুল কালাম চিরকুমার ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে গেলে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে দ্রুত পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালামের মৃত্যুতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে দেশটি। মঙ্গলবার বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
রাজধানী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে বুধবার সকালে আবদুল কালামের মরদেহ নিয়ে বিমানবাহিনীর বিমান তামিলনাড়ু রওনা হয়। এর আগে বিমানবন্দরে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসরকারি খেতাব ‘ভারতরত্ন’ জয়ীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তামিলনাড়ুর মাদুরাই বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ বিশেষ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয় নিজগ্রাম রামেশ্বরমে।
বুধবার বিকেলে রামেশ্বরম শহরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে খোলা মাঠে তার মরদেহ রাখা হলে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ ‘জনতার রাষ্ট্রপতির’ কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই অনন্যসাধারণ মানুষটির মরদেহ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের বাড়ি নেওয়ার পথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে আরো হাজারো মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি