Connecting You with the Truth

আমাকে মারুন ওকে ছেড়ে দিন

DINগাজীপুর প্রতিনিধি: ওকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে মারুণ এমন আকুতিও মন গলাতে পারেনি পাষন্ড মুদী দোকানী আশরাফুলের। মাদরাসার ছাত্রকে বুকের উপর চড়ে বসে বর্বর নির্যাতন চালানোর, ঘটনা ঘটে শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উজিলাব গ্রামে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরও মামলা হয়নি সংশ্লিষ্ট থানায়। নির্যাতিত ওই ছাত্র চন্নাপাড়া গ্রামের সিএনজি চালক বাচ্চু মিয়ার পুত্র দ্বীন ইসলাম (১০)। সে উজিলাব গ্রামের আল মাদরাসাতুল হিকমার হিফজ বিভাগের ছাত্র। শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দ্বীন ইসলাম জানায়, উজিলাব গ্রামের বুলবুল নামের সমবয়সী এক ছেলের সাথে শুক্রবার দুপুরে ঝগড়া হয়। খবর শুনে বুলবুলের পিতা আশরাফুল ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বীন ইসলামের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাকে মাটিতে আঁছাড় মেরে ফেলে দিয়ে বুকের ওপর চড়ে বসে মুখ ও মাথায় বেধড়ক মারপিট করে। পরে লাঠি দিয়ে হাত পায়ে পিটিয়ে আহত করে। তিন পাড়া কুরআন হেফজ করা ছাত্রের ওপর নির্যাতনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো: ইব্রাহিম খলিল। ছাত্রের ওপর বর্বর নির্যাতন দেখে কেঁদে ফেলেন তিনি। চিৎকার করে বলতে থাকেন আমাকে মারুন আমার ছাত্রকে ছেড়ে দিন। শিক্ষকের এমন আকুতিও মন গলে নি ওই পাষন্ড মুদী দোকানীর। স্থানীয় যুবক মাহবুব এগিয়ে এসে আহত ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে দ্বীন ইসলামের পিতা সিএনজি চালক বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ছুটে আসেন শ্রীপুর হাসপাতালে। হাসপাতালে পুত্রের পাশে থাকা অবস্থায় তার বাবা শিশু পুত্রকে নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এস.আই সাইফুল জানান, মারপিটের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়াছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে। শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments
Loading...