‘আমার বঙ্গবন্ধু’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঢাবির তিন শিক্ষার্থী
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থী।
বিজয়ীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান নূর ইভা, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম খান এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দ্রিকা মন্ডল। তারা তিনজনই ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’র (ডিইউডিএস) বিতার্তিক।
জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অনলাইনে ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ের ওপর বক্তব্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সারা দেশ থেকে সকল বয়সের প্রতিযোগীরা অংশ নেন। সম্প্রতি মুজিব শতবর্ষের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সারাদেশ থেকে বিজয়ী ১২ জনের মধ্যে তিন জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিজয়ীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পূর্বঘোষিত পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকার স্মারক চেক গ্রহণ করেন।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিজয়ী শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘একজন বিতার্তিক হিসেবে এই বিজয় আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এর আগে দেশে বিতর্ক বা প্রতিযোগিতামূলক বক্তব্যের জন্য এত বড় বাজেটের কোনো আয়োজন হয়নি। প্রত্যাশা করব আগামীতেও যেন তরুণদের মধ্যে দেশের ইতিহাস নির্ভর আয়োজন হিসেবে এর ধারাবাহিকতা থাকে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আনন্দের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বড় ভাইদের নানা সাফল্য বয়ে আনার খবর দেখতাম প্রথম বর্ষে থাকতে। মনে হত একদিন আমিও যদি তাদের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু আনতে পারতাম। এই আয়োজনে সেই স্বপ্নটিকে ছুঁয়ে দেখা হলো।’
আরেক বিজয়ী ইসরাত জাহান নূর ইভা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সংগ্রামকে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস হিসেবে প্রতিযোগিতাটি অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় ও অভিনব উদ্যোগ। এ ধরনের আয়োজন একদিকে যেমন তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে ও চর্চা করতে সাহায্য করে, তেমনিভাবে দেশপ্রেমেও উদ্বুদ্ধ করে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে শর্টলিস্টেড ৪০ জনের মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন প্রতিনিধি ছিল। বিষয়টি সত্যিই আমার জন্য গর্বের। অবশ্যই সেখানে পুরস্কৃত হওয়ার আনন্দটা অবর্ণনীয়।’