আরেফিন রুমীর কাজের বুয়ার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বিভ্রান্তি; অনলাইনে তোলপাড়
অনলাইন ডেস্ক: জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আরেফিন রুমী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর এবার আরেকটি অভিযোগ উঠলো তার নামে। অভিযোগটি করেছেন রুমীদের বাসার কাজের বুয়া রহিমা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “রুমী একটি খারাপ ছেলে। সে আমাকে খুব পাশবিক নির্যাতন করে। মাস শেষে যখন বেতন দেয়ার সময় হয়। তখন রুমী তালবাহানা করে। লিপ কিস না দিলে বেতন দিবেনা বলে জানায় রুমী। আমি বাধ্য হয়ে সতেরোবার তার সাথে লিপ কিস করেছি। এই ভয়ংকর লুচোর মুখোশ উন্মোচনে আপনারা সোচ্চার হোউন।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ধরণের সংবাদের লিংকটি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা আলী মুনা। এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায় এবং তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি জনপ্রিয় কষ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমির সঙ্গে মধ্যবয়সী এক মহিলার ছবিও জুড়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার নেপথ্য কারণ নিয়ে জনপ্রিয় আরেফিন রুমির বক্তব্যের সঙ্গে তার মায়ের বক্তব্যের মিল নেই। বুধবার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমি দাবি করছেন, দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসা তার মাকে গালাগালি করতেন, অবাধ্য ছিলেন আর তাকে মানসিক অত্যাচার করতেন।
কিন্তু দুপুরে এ ব্যাপারে রুমির মা নাসিমা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কামরুন নেসার আরেক স্বামী আছে যিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি নিয়মিত সেই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসতেন। কিন্তু বিয়ের আগে রুমিরা জানতেন কামরুন নেসা তালাকপ্রাপ্তা।
জানা যাচ্ছে, গত ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসাকেও ডিভোর্স দেন আরেফিন রুমি। গত মঙ্গলবার রুমির আইনজীবী আবদুর রহিম কামরুন নেসার বাবাকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি অবগত করেন।
ডিভোর্সের খবরটি মিডিয়ায় চাউর হতেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করেন।
এদিকে, আরেফিন রুমি আরো বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর চরিত্র মোটেও ভলো না। তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে এখনো দৈহিক সম্পর্ক রয়েছে। এ ধরণের মেয়েদের বেশ্যা ছাড়া আর কিই বা বলার আছে।
এর জবাবেই ফেসবুক পেজে আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন রুমি। তিনি বলেছেন, ‘তালাক দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, সে (কামরুন্নেসা) আম্মুকে গালাগালি করত। সে আমার বাধ্যগত ছিল না। জানি, সবার বাসায় অনেক কিছুই হয়। আমার কিছু বলার ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা, নিজে বাঁচলে তবেই তো নিঃশ্বাস নেব। আসুন কথা বলি আমরা ক্যারিয়ার নিয়ে। কারণ এর জন্যই সবকিছু।’
কামরুন নেসা কাজেও বাধা দিতেন উল্লেখ করে বলেন, ‘কাজ যদি না করতাম, সবাই বলত- বেকার। কাজ করছি। কাজেও সে বাধা হয়। তালাকের এটাও একটা কারণ। একজন গায়ক যদি লাইট হয়। আর সে লাইটকেই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো হলো না। সে স্টুডিওতে পর্যন্ত কাজ করতে দিত না। এটাই আসলে বড় কারণ। আমি আমার বেবি ও কামরুন্নেসা দুজনকেই মিস করি। অনেক। কিন্তু সে আমার কথা বুঝল না। আর কী করা! পৃথিবাটা অনেক বড়। আর একটা কথা আমি টাকা উপার্জন করে আনি অথচ আমার বাধ্যগত যদি না থাকে তাহলে আমি তাদের জন্য কেন করব? সত্যিই কিছু করার ছিল না।’ তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী অনন্যার ঘরের ছেলে আরিয়ানকে কাছে আনতে দিত না বলেও রুমির অভিযোগ।
তবে তার মা নাসিমা আক্তার বলছেন, ‘রুমি জানতো কামরুন নেসা তালাক প্রাপ্তা। কিন্তু বছরখানেক আগে জানা গেল কামরুন নেসার আরেক স্বামী আছে। তার নাম সোহাগ আলী। থাকে নিউইয়র্কে। রুমির চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা বলতো কামরুনন্নেসা। একদিন তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে রুমি। রুমির কথা হলো, একজন নারীর একসঙ্গে দুইটা স্বামী থাকতে পারে না। কিন্তু কামরুন্নেসা বিষয়টা মাথায় নেয়নি। ছয়মাস রুমির কাছে থাকে আর বাকি ছয়মাস আমেরিকায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে কাটায়। এসব বলতে গেলে কামরুন্নেসা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।