‘ইরাকে অস্ট্রেলীয় কিশোরের আত্মঘাতী হামলা’
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে লড়াই করতে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দেয়া এক অস্ট্রেলীয় স্কুলছাত্র ইরাকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। বিবিসি বলছে, মেলবোর্নের ১৮ বছর বয়সী জ্যাক বিলার্দি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। ২০১৪ সালে তিনি তুরস্ক হয়ে ইরাকে যান। বুধবার আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, জ্যাক বিলার্দি একটি সাদা রঙের গাড়িতে চালকের আসনে রয়েছেন। তাতে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে, “আল্লাহ তাকে গ্রহণ করুন”। অস্ট্রেলীয় সরকার জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে তারা এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট বলেন, “এটি সত্যি ভয়ানক পরিস্থিতি”। তিনি বলেন, “এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মের নিরাপত্তার জন্য, এসব উগ্রবাদী মতাদর্শ থেকে রক্ষার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করি।” আনুমাণিক ৯০ জন অস্ট্রেলীয় আইএসের পক্ষে লড়াই করার জন্য সিরিয়া ও ইরাকে পাড়ি জমিয়েছেন। এর বাইরে প্রায় ১৫০ জন অস্ট্রেলীয়র আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন রয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগ জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করার ব্যাপারে তাদের সামর্থ্য সীমিত। ডিসেম্বরে বিবিসির নিউজনাইটে জ্যাক বিলার্দি বলেছিলেন, তিনি শহীদ হওয়ার জন্য এবং আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে মৃত্যুবরণ করার জন্য ইরাকে গেছেন। বিলার্দি আরো বলেছিলেন, “আমি মৃত্যুর জন্য এখানে এসেছি। আমি যতজন কাফেরকে হত্যা করা সম্ভব হত্যা করবো।” বুধবার প্রকাশিত বিলার্দির ছবিতে তার ইসলামি নাম দেয়া হয়েছে- আবু আবদুল্লাহ আল-অস্ট্রালি। আইএস আত্মঘাতী হামলার জন্য সাদা রঙের গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। জানা গেছে, বুধবার ইরাকের আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদিতে অন্ততপক্ষে ১৩টি আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। গেল সপ্তায় অস্ট্রেলিয়ার দুই কিশোরভাই সিডনি বিমানবন্দরে আটক হন। ধারণা করা হচ্ছিল তারা আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী ওই দুইভাইকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটক করার পর তাদের বাবা-মার কাছে কোনো অভিযোগ ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।