Connecting You with the Truth

ইরাকে ৫০টিরও বেশি গণকবরের সন্ধান: জাতিসংঘ

iraqআন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতোপূর্বে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে ছিল ইরাকের এমন কয়েকটি এলাকায় ৫০টিরও বেশি গণকবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক দূত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ তথ্য জানিয়ে এটিকে আইএসের ঘটানো ‘জঘন্য অপরাধের নমুনা’ বলে বর্ণনা করেছেন বিশ্ব সংস্থাটির দূত জান কুবিস।
আজ শনিবার বিবিসি এক খবরে জানিয়েছে, জান কুবিস ইরাকে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, আইএসের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা ইরাকি ভূখণ্ডে সম্প্রতি এসব গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে।
সম্প্রতি এপ্রিলে ইরাকের রামাদি শহরে কয়েকটি গণকবর পাওয়া যায়, এগুলোর মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব ঘটনার জন্য আইএসের যোদ্ধাদের ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য’ বিশ্ব সম্প্রদায়ের ‘পদক্ষেপ’ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কুবিস।
তিনি বলেন, “আমি সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর ভাষায় ইরাকিদের ওপর আইএসআইএলের (আইএস) ধারাবাহিক হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের নিন্দা জানাচ্ছি; এসব ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও এমনকি গণহত্যাও হতে পারে।”
২০১৫ সালের মে মাস থেকে রামাদি দখল করে রেখেছিল আইএস। ওই বছরের ডিসেম্বরে ইরাকি সেনাবাহিনী শহরটির বেশ কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করে। কিন্তু শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার দখল ধরে রেখে প্রতিরোধ চালিয়ে যায় আইএসের যোদ্ধারা।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী তাদের প্রতিরোধ ভেঙে ওই এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের পর শহরটির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। রামাদি ছাড়াও এক সময় আইএসের দখলে থাকা উত্তর ইরাকের সিনজার ও তিকরিতের কাছে এবং পশ্চিম ইরাকের আনবারের কাছেও বিভিন্ন গণকবরে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
আইএসের জঙ্গিরা যাদের হত্যা করে এসব গণকবরে কবর দিয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য, ইরাকি সেনা, নারী ও সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা রয়েছেন। এছাড়া সিরিয়ার যেসব এলাকা আইএসের দখলমুক্ত হয়েছে সেসব এলাকাতেও গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে।

Comments
Loading...