ইরান পরমাণু আলোচনার চুড়ান্ত সময়সীমা পার
ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকানোর লক্ষ্যে একটি খসড়া ?চুক্তিতে পৌঁছাতে সুইজারল্যান্ডে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের চলমান ধারাবাহিক আলোচনা চলার মধ্যেই চুক্তির জন্য বেধে দেয়া চূড়ান্ত সময়সীমা পার হয়ে গেছে। ৩১ মার্চ, মঙ্গলবার ওই সময়সীমা পার হওয়ার পরও চুক্তির শর্তগুলো নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি দুপক্ষ। তবে দুপক্ষ সমঝোতার খুব কাছাকাছি আছে বলে জানা গেছে। কিন্তু ইরানের ওপর আরোপিত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার খুটিনাটি নিয়ে কিছু মতবিরোধ এখনো রয়ে গেছে। এসব বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনার সময় আরো একদিন বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিন শেষে বুধবার গভীররাতে সুইজারল্যান্ডের লুসানে ওই সময়ের মতো আলোচনায় ইতি টানেন মধ্যস্থতাকারীরা। সমঝোতার খুব কাছে চলে আসায় আলোচনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ইরান ও রাশিয়া। এবারের আলোচনায় ছয় বিশ্বশক্তি, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের সমঝোতার পর একটি খসড়া চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে। ওই চুক্তির ধারাবাহিকতায় জুনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তির একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব চুক্তি সম্পন্ন হলে ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ১২ বছর ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান হবে এবং মধ্যপ্রাচ্য আরেকটি যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে পারবে। আলোচনায় ইরান নিজেদের “পরমাণু অধিকারের” ওপর জোর দিচ্ছে। পরমাণু গবেষণায় ইরানের অধিকার, জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া ও সমঝোতা অনুযায়ী না চললে ইরানের ওপর তা আবার আরোপ করার খুঁটিনাটি নিয়ে একমত হতে না পারায় আলোচনা শেষ করে চুক্তি সই করা যায়নি। এতে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার আলোচনা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আলোচনার সঙ্গে জড়িত এক ফরাসি কূটনীতিক কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যঁরা ফ্যাবিয়াস আলোচনা ছেড়ে ফ্রান্সে চলে যাচ্ছেন এবং আলোচনা “কার্যকরী” হয়ে উঠলে তিনি ফিরে আসবেন। ফ্যাবিয়াসের চলে যাওয়া আলোচনায় বড় ধরনের কোনো সমস্যার ইঙ্গিত কিনা, তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।