উত্তর কোরিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাখ্যান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করতে অস্বীকার করায় পিয়ং ইয়ংয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলো ওয়াশিংটন।
১৯৫০ থেকে ’৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানে চলতি বছরের প্রথম দিকে পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ পরমাণু পরীক্ষার মাত্র দিনকয়েক আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন গোপনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোববার উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার একটি প্রস্তাব হাতে পেয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যানও করা হয়েছে।
আম্মান ও জর্ডানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে সফররত কারবি সাংবাদিকদের বলেন, শান্তি চুক্তি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার আলোচনার প্রস্তাব আমরা হাতে পেয়েছি। সতর্কতার সঙ্গে তাদের প্রস্তাব বিবেচনা শেষে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে অপারমাণবিকীকরণ যেকোন আলোচনার অংশ হতে হবে। কিন্তু তারা আমাদের এ জবাব প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ উত্তর কোরিয়ার অপারমানবিকীকরণে আমাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকেই এ জবাব দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বিষয়টির সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনার পূর্বশর্ত ছিল উত্তর কোরিয়াকে আগে অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে। কিন্তু হোয়াইট হাউস তার দীর্ঘদিনের এ অবস্থান থেকে সরে এসে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিকে কেবল আলোচনার অংশ হিসেবে রেখেছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এটি এ পর্যন্ত তাদের সর্বশেষ পরমাণু পরীক্ষা।
এদিকে পরমাণু এ পরীক্ষা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড় উঠে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপের বিষয়ে সম্মত হয়। বৃহস্পতিবার ওবামা মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত কঠোর নতুন অবরোধ আরোপের পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেন।