Connecting You with the Truth

এই ধরণের সহিংসতা মঙ্গল বয়ে আনবে না -ইইউ রাষ্ট্রদূত

EU

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে আগুন দিয়ে সাধারণ নাগরিক হত্যার ঘটনাকে বর্বরোচিত ও মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত কাল সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, এই ধরনের সহিংসতা মঙ্গল বয়ে আনবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। আগের দিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও এসময় তুলে ধরেন পিয়েরে মায়াদন। “একজন মানুষ কিভাবে এই বর্বরোচিত কাজ করতে পারে,” প্রশ্ন রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত। এসময় প্রধানমন্ত্রীও সকালে বার্ন ইউনিট ঘুরে আসার অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবের কথাও সাক্ষাতে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নেয় নাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপি পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। “তাদের হাত থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাও রেহাই পাচ্ছে না।” অবরোধের মধ্যে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠন আইএসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আইএসের মতো কাজ।” ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অর্থনৈতিক সহযোগী হিসাবে অভিহিত করেন পিয়ারে মায়াদন।
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইইউ বিজনেস কাউন্সিল গঠনের কথাও বলেন তিনি। ‘ব্ল“-ইকোনমি’ এবং বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে মায়াদন বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। কৃত্রিম উপগ্রহের জন্য বাংলাদেশকে সহয়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত। পাঁচ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতি দূর করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অগ্রগতির আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছেন, তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা দেবে বলেও জানান পিয়ারে মায়াদন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। নদীর নাব্য বাড়ানো ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার উপস্থিত ছিলেন।

Comments
Loading...