এই পাঁচ প্রতিষ্ঠান কিনে আরও বেশি লাভবান গুগল
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন ও বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান গুগল।
প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গুগল তখনো তাদের কর্মকাণ্ডে স্থির হতে পারেনি। সার্চ ইঞ্জিন তো তখনও এক অপরিচিত ব্যাপার।
আর এখন, ১৫ বছর পর ‘গুগল’ শব্দটিই একটি ক্রিয়াবাচক শব্দে পরিণত হয়েছে। গুগল এখন বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
গুগলের নিজস্ব অনেক জনপ্রিয় সার্ভিস থাকার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানকে কিনে নিয়েছে। তবে গুগলের সবগুলো অধিগ্রহণই যে সফল হয়েছে, তা নয়। তবে কিছু অধিগ্রহণ গুগলকে এতটাই সাফল্য এনে দিয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটির এখন বার্ষিক আয়ের একটা বড় অংশ আসে এসব অধিগ্রহণকৃত প্রতিষ্ঠান থেকেই।
ডাবল ক্লিক-
এই প্রতিষ্ঠানটিকে গুগল ২০০৭ সালে ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। গুগলের প্রধান ব্যবসা হচ্ছে বিজ্ঞাপন। আর এই বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের স্ক্রিনে যথাযথভাবে দেখানোর জন্য মূল কাজটি করে ডাবল ক্লিক। গুগলের মোট আয়ের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আসে বিজ্ঞাপন থেকে, যা বার্ষিক অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার।
ওয়েজ-
২০১৩ সালে ইসরায়েলি এই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় গুগল। এই প্রতিষ্ঠানটি ট্রাফিক ডাটা সংগ্রহ করে, যা ব্যবহার করেই মূলত গুগল ম্যাপ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে সম্ভাব্য কত সময় লাগতে পারে এবং কোন পথ সবচেয়ে উপযুক্ত, সেটি প্রদর্শন করে।
বর্তমানে ওয়েজের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ১৫ কোটি। গুগল ম্যাপ ও ওয়েজের মালিকানা থাকায় গুগল ম্যাপিং ডাটার ক্ষেত্রে একচ্ছত্র সুবিধা ভোগ করে।
নেস্ট-
২০১৪ সালে স্মার্ট হোম কোম্পানি নেস্টকে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় গুগল। এই অধিগ্রহণ গুগলের হোম ডিভাইসগুলোর সেবা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।
ইউটিউব-
১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবকে কিনে নেয় গুগল। ইউটিউবে তখন মোট কর্মী ছিল ১০০ জনেরও কম।
বর্তমানে ইউটিউব গুগলের দ্বিতীয় বৃহত্তম আয়ের উৎস। বার্ষিক ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় আসে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে। অনেকে মনে করেন, ইউটিউবে কোনো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটি সামাল দেওয়ার মতো কর্মী এখনো নেই। ইউটিউব এখন এত বড় হয়ে গেছে যে এই প্ল্যাটফর্মের ভুয়া তথ্য ও ক্ষতিকর কনটেন্ট যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
অ্যান্ড্রয়েড-
মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ২০০৫ সালে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কিনে নেয় গুগল। বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ স্মার্টফোন এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এই অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স হওয়ায় বিশ্বের বড় বড় স্মার্টফোন উৎপাদনকারীরাও এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছে।