কলকাতা-খুলনা পরীক্ষামূলক যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চালু
কামাল হোসেন, বেনাপোল: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সৌহাদ্যের বার্তা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতির লক্ষ্যে কলকাতা থেকে ১২ জন কর্মকর্তা নিয়ে পরীক্ষামূলক কলকাতা-যশোর-খুলনা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবায় যোগ হলো ২টি যাত্রীবাহী বাস। মঙ্গলবার বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাস দুটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্মেন্টের ল্যান্ড প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আল্পনা ভট্রাচার্য এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ বাস দুটি (ডব্লিউবি-২৩-ডি-৩৩১৩ ও ডব্লিউবি-২৩-ডি-৩৩১৪) নিয়ে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে এসে পৌছালে সেখানে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) নিতাই চন্দ্র সেন, উপ পরিচালক আব্দুল জলিল, বেনাপোল কাষ্টমসে ডেপুটি কমিশনার মারুফুর রহমান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইকবাল আকতার, মোমিনুল ইসলাম, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান প্রমুখ। পরে কড়া পুলিশ প্রহরায় তারা খুলনার উদ্দেশ্যে বেনাপোল ত্যাগ করেন।
ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-আগরতলার পর এবার খুলনা-কলকাতা রুটেও বাস সার্ভিস চালু হতে। যাচ্ছে। খুলনা ও কলকাতায় উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পরে বাণিজ্যিকভাবে বাস সার্ভিস চালু হবে। এটি হবে দুই-দেশের মধ্যে তৃতীয় সরাসরি বাস সার্ভিস। সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল মোটর ভেহিকেলস্ এগ্রিমেন্ট (বিবিআইএন-এমভিএ) এর আওতায় এই বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খুলনা-কলকাতা ভায়া যশোর রুটে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজারসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বিদেশি পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। খুলনার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও বিকাশ ঘটবে। এছাড়া খুলনা অঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবার জন্য ভারত ভ্রমণকারী পাসপোর্টযাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে। দুই-দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের নাগরিকদের যাতায়াত নির্বিঘ্নে এবং সহজ হবে।