Connect with us

খুলনা বিভাগ

কলারোয়ায় এলএসডি উদ্ধার, আটক ১

Avatar photo

Published

on

কলারোয়া প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারও উদ্ধার করা হয়েছে ৪ বোতল ভয়ংকর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড) এবং এ ঘটনায় সাহেব আলী (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। সে কাঁদপুর গ্রামের মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে।

কলারোয়া থানার এসআই রাজীব মন্ডল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁদপুর গ্রামে পরিচালিত অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী সাহেব আলীকে আটক ও তার শয়ন কক্ষ থেকে চার বোতল ভারতীয় এলএসডি (প্রতি বোতলে ৫০ এমএল) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

কলারোয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ২৯(ক)/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কুষ্টিয়া

স্বামী-সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে শাহানাজ পারভীনের সংবাদ সম্মেলন

Avatar photo

Published

on

কুষ্টিয়া: দৌলতপুর উপজেলার ৫ নং রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভাগযোত বাজারে অবস্থিত আল মক্কা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক জাহিদ হাসানের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন সম্মেলনের মাধ্যমে সে তার স্বামী- সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে চেয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে শাহনাজ পারভীন জানান, ১৩ বছর আগে জাহিদ হাসানের সাথে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তী আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমন অবস্থায় আমার স্বামী ও শাশুড়ি পরস্পর যোগসাজশে করে আমাকে ভরণপোষণ না দেওয়ার মন-মানসিকতায় মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আমার বাবা-মার কাছ থেকে। এবং সেই মোটা অঙ্কের যৌতুক না পাওয়া পর্যন্ত আমার উপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন।

পরে নির্যাতনের বিষয়টি আমার বাবা-মাকে জানালে আমার সুখের কথা চিন্তা করে জমি-জায়গা বিক্রয় করে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান পরে আমার স্বামী জাহিদকে। পরে কিছুদিন তারা ক্ষান্ত হলেও পুনরায় আবার আরে ৫ লক্ষ টাকা আমার বাবা মার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য বলে । দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা আমি এনে দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা পূর্বের থেকে আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।

গত ১০/০৫/২০২৩ তারিখ রাতে আমার স্বামী জাহিদ হাসান তাহার বসত বাড়ির শয়ন কক্ষে আমার শাশুড়ি মাসুরা খাতুন এর সহযোগিতায় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে আমার স্বামী ও শাশুড়ি ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে একটি দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমের মধ্যে আটকায়ে রাখে।

আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশী ও লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি স্থানীয় লোকজনদের অপমান অপদস্ত করে যার কারণে বাধ্য হয় স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি প্রশাসন কে অবগত করে। পরে উক্ত ৯৯৯ এর সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আমাকে দুর্গন্ধযুক্ত ঐ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।

শাহনাজ পারভীন আরো জানান, আমি আমার স্বামী সংসার ও ছেলেমেয়ে কে ফিরে পেতে চাই। আমার বাবার বসতভিটা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে তাকে ইতিপূর্বে ৮ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি, এখন আর তাদের টাকা দেওয়ার মতো কোন সম্বল নেই। যার কারণে আমার উপর এমন অত্যাচার এর মাত্রা তাদের দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

Continue Reading

কুষ্টিয়া

দৌলতপুরে ২শ’ বছরের প্রাচীন নিলকুঠি এখন কালের স্বাক্ষী

Avatar photo

Published

on

দৌলতপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ২শ’ বছরের প্রাচীন বৃটিশদের নিলকুঠি এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে সেবা দিচ্ছে জনসাধারনের। ব্রিটিশদের তৈরি এই প্রাচীন নিলকুঠি উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি (তপসিল) অফিস হিসাবে এখন পরিচিত। ১৮০০ সালে চুন শুড়কী দিয়ে নির্মিত ৬রুম বিশিষ্টি একতলা বাড়ি যার নাম নীলকুঠি, তার সাথে দাড়িয়ে আছে ৭টা বহু পুরানো দেবদার গাছ। এ ছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়নের পচামাদিয়া গ্রামে এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদে নিলকুঠি তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ সরকার যা এখন নষ্ট হয়েগেছে।

জানা গেছে, ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পলাশী যুদ্ধে হারানোর কয়েক বছর পরে, ইংল্যান্ডে বস্ত্রশিল্পে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৭৭৭ সালের পরপরই অধিক লাভের আশায় বাংলায় নীলচাষের জন্য পাঠানো হয় কয়েকজন নীলকর। এর মধ্যে তৎকালীন পুর্ব বাংলার অংশ, বর্তমান কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি নিলকুঠি স্থাপন করেন ব্রিটিশ সরকার এবং এ অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়ে আসেন ইংরেজ টমাছ ভ্যান কেলি।

এখানকার মাটি নীলচাষের উপযোগী হওয়ায় সরল মানুষদের দিয়ে নীল চাষ করাতেন ইংরেজ টমাছ ভ্যান কেলি। কৃষকরা যদি নীল চাষ করতে না চাইতো তখন কৃষকদের ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য করা হতো নীলচাষে। বন্দি করে রাখা হতো এই নীলকুঠি ঘরে। বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা ছিল শৃঙ্খলে বন্ধি। তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হতো না। সেই সময় বাঙালিরা ছিল বর্বর জাতি।

১৯৪৭ সালে বাংলা ও ভারতের পৃথকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশের সীমানা প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের ফলে এই অঞ্চলটি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তনে পরিণত হয়। পাকিস্তানীদের শাসন আমলে বিভাগ, জেলা, উপজেলায় ভাগ করা হয়। কর আদায়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে দুই জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়, সিও রেভ (রেভিনিউ কর্মকর্তা) ও সিও ডেব দৌলতপুর (কর্মকর্তা), উপজেলার এ অফিস (সিও অফিস) নামেও পরিচিত ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এ নিয়ম বাতিল করে দুইজন কর্মকর্তার পদবীর নাম পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভুমি করেন। সিও অফিসের কার্যক্রম বিলুপ্তি ঘোষনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োন্ত্রনে আনেন বঙ্গবন্ধু সরকার। এ নিল কুঠিবাড়ি প্রায় ৭ একর জায়গা নিয়ে এখন হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের (ইউনিয়ন ভুমি) অফিস হিসাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ কুঠিবাড়ি দীর্ঘ ২শ বছর সেবা দিয়ে আসলেও ওয়াল গুলো সুরক্ষা থাকলেও উপরের ছাদ অকেজো হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ২শ’ বছরের পুরনো নিল কুঠির টালিছাদ দুর্বল হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলে কিছু জায়গায় পানি পড়ে। এর মুল কাঠামো ঠিকরেখে সংস্কার করলে প্রাচীন এই নিল কুঠিবাড়ী আরো অনেক দিন ইতিহাসের স্বাক্ষি হয়ে থাকবে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ ওবাইদুল্লাহ বলেন, আমি কুঠিবাড়ীতে গিয়েছিলাম এখানে কাজ করার সুযোগ আছে, আমি চেষ্টা করবো বরাদ্দ নিয়ে সংস্কার। তিনি আরো বলেন, মাননীয় জেলা প্রসাশক জনাব আসলাম হোসেন উক্ত নিল কুঠিকে জাদুঘর ও ডিসি ইকো পার্ক করার জন্য প্রস্তাব রেখেছেন। খুব শিঘ্রই এই নিল কুঠি জাদুঘর ও ডিসি ইকো পার্ক দেখতে পাবে এলাকাবাসী।

Continue Reading

Highlights

কলারোয়ায় বিলুপ্তির পথে ইতালি নগরের সুবিখ্যাত টালি শিল্প

Avatar photo

Published

on

দেশজুড়ে ডেস্ক:
সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টিতে সরকারের সহযোগিতার অভাব এবং কতিপয় ব্যবসায়ীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার সুবিখ্যাত টালি শিল্প। এদিকে, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে না পারা ও উৎপাদন খরচ বাড়াসহ নানা সমস্যা রয়েছে। ফলে কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি ও শ্রীপতিপুর এলাকায় ৪১টি কারখানার মধ্যে সচল আছে মাত্র ১৫টি। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় চার হাজার শ্রমিকের অবস্থা করুণ। ভালো নেই এখানকার টালি শিল্পের মালিক ও শ্রমিকরা।

কলারোয়া টালি কারখানার মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও কলারোয়া ক্লে টাইলসের মালিক গোষ্ট চন্দ্র পাল জানান, পূর্ব পুরুষদের পেশা অনুযায়ী এখানকার পালরা প্রতিমা তৈরি করতেন। আর এই প্রতিমা তৈরি করে মুরারিকাটি ও শ্রীপতিপুর এলাকার পালরা সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, পালপাড়া বধ্যভূমির কারণে এখানকার ঐতিহ্য রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে এখানে টালি নির্মাণ শুরু হয়। ২০০২ সালে ইটালির ব্যবসায়ী রাফাইলো আলদো আসেন বাংলাদেশে। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নারায়ণগঞ্জে টালি তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু ওই এলাকার তৈরি টালি পছন্দসই না হওয়ায় তিনি তার দেশে ফিরে যান। কিন্তু ওই কোম্পানির ম্যানেজার রুহুল আমিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পোড়া মাটির টালি তৈরির জন্য মাটি খুঁজতে থাকেন। পরে কলারোয়ার কুমারপাড়ায় এসে পেয়ে যান যুৎসই মাটি।

গোষ্ঠ চন্দ্র পালি আরো বলেন, এক কন্টেইনারে ১৫ হাজার পিস টালি বহন করা যায়। ইটালিতে একসময় প্রতি মাসে ৩০ কন্টেইনার টালি যেত। বর্তমানে ৫-৬ কন্টেইনার টালি যায়। বর্তমানে মালিক সমিতির সদস্য শ্রীকান্ত পাল, তৈলাজ পাল, মদন পাল, শঙ্কর পাল, সন্তোষ পালসহ ১৫-১৬ জন এবং লালপাল, ময়না পাল, জগবন্ধু পাল, স্বপন পাল, মোসলেম উদ্দীন, পরিতোষ দাসসহ আরো ২৫ থেকে ২৬ জন তাদের কারখানা বন্ধ করেছেন। টালি তৈরির সঙ্গে যুক্তরা জানান, কারার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক রুহুল আমিন কলারোয়া কুমারদের পোড়া মাটির তৈরি টালির সম্ভাবনার পথ দেখান। শুরু হলো টালি তৈরির কাজ। এরপর প্রথমবার পাঁচটি কারখানার উৎপাদিত টালি ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়। এ কারণে এলাকাকে অনেকেই ‘ইতালিনগর’ বলে থাকেন। দু’বছর যেতে না যেতেই এখানকার উৎপাদিত টালি নজর কাড়ে জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের। কলারোয়ার মাটি পৌঁছে যায় ইউরোপ-আফ্রিকা-পশ্চিম এশিয়ায়। জাহাজে করে রপ্তানি শুরু হয় কলারোয়ার টালি। বিনিময়ে আসতে থাকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। চাহিদা সঙ্গে সঙ্গে এখানকার টালি কারখানার সংখ্যাও বাড়ে। এসব কারখানার কাজ পান প্রায় চার হাজার শ্রমিক। ২০১০ সাল পর্যন্ত টালি শিল্প মালিকদের সুদিন ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ ভালো দামেই বিক্রয় হতো এখানে উৎপাদিত টালি। প্রতিটি টালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন উৎপাদকরা। এতে করে প্রতি বছর এ শিল্প থেকে ৩০০ কোটিরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে এ শিল্পে ভাঁটা পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলারোয়ায় উৎপাদিত প্রতি স্কয়ার ফুট টালির বাজার মূল্য দুই থেকে ১০০ টাকা, রেকট্যাংগুলোর টালি তিন থেকে ৬০ টাকা, স্টেপ টালি দশ থেকে ৩৫ টাকা, বেন টালি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, টেরাকোটা টালি ছয় থেকে ৩০ টাকা, লিস্ট টালি তিন থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ১০-১২ ধরনের ফ্যাশনেবল টালি তৈরি হয় এখানে। মেঝে, দেয়াল, ছাদে ব্যবহৃত হয় এসব টালি। দেশি সমঝদার-শৌখিন মানুষদের কাছে কলারোয়ার টালি খুবই পছন্দের। টালি কারখানা মালিক সমিতির সদস্যরা জানান, প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় টালি মৌসুম। ৩১ মে পর্যন্ত চলে উৎপাদন। প্রতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩০ বার পন (চুল্লি) জ¦ালানো যায়। প্রতি পনে ছোট আকারের দশ হাজার থেকে ১২ হাজার টালি এবং বড় আকারের আট হাজার থেকে দশ হাজার টালি উৎপাদন করা হয়। এতে করে প্রতি ‘পোনে’ খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পর তবেই লাভের মুখ দেখা যায়।

টালি কারখানার মালিকরা জানান, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

টালি কারখানা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাদুল ইসলাম ও সদস্য আবদুর রব মোল্যা জানান, তারাসহ বেশ কয়েকজন এ ব্যবসাটা ধরে রেখেছেন। প্রতি কন্টেইনার টালির উৎপাদন খরচ প্রায় এক লাখ টাকা। ইউরোপের বাজারে যার দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে প্রায় ৪০০ কন্টেইনার টালি রপ্তানি করে শত শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু অসম প্রতিযোগিতা এ শিল্পকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। একদিন এ শিল্পের সুদিন ছিল। আজ দুর্দিন। ব্যবসায়ীরা সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও নীতিমালা তৈরির দাবি জানান।

Continue Reading