Connect with us

বিবিধ

কষ্ট হলেও স্বাস্থ্যকর সিঁড়ি বেয়ে ওঠা

Published

on

urlঅন্যান্য ডেস্ক:
লিফট ব্যবহারে অভ্যস্ত আমরা আর সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চাই না। সিঁড়ির দিকে তাকালে
যেন অনেক ভয় লাগে, লিফটে উঠতেই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু আমরা হয়ত জানি না যে সিঁড়ি বেয়ে ওঠাটা আসলে আমাদের দেহের জন্য কতটা উপকারী। হ্যাঁ, কষ্ট হয় বটে। কিন্তু এই কষ্টের বিনিময়ে শরীরে হয় ফায়দা। বিশেষ করে এই নগর জীবনে যারা ব্যায়াম করার সময় পান না। আসুন, জেনে নেই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার এমন ৫ টি উপকারিতা।
১. অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়ায়:
ওজন কমানোর জন্য আমরা প্রতিদিন কত কী করি। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলি, জগিং করি। কিন্তু আমরা যদি প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করি তাহলে তা জগিং করার চেয়েও বেশি ভালো ফলফল দিয়ে থাকে। দেখা যায় যে প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করলে শারীরিক পরিশ্রম হয়ে থাকে। ফলে দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে শরীর ফিট থাকে।
২. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়:
হার্ভার্ড অ্যালুমনি হেলথ স্টাডি ১১০০০ মানুষের উপরে এক গবেষণা চালিয়ে ফলাফল দেয় যে সিঁড়ি বেয়ে প্রতিদিন ওঠানামা করলে তা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। গবেষণায় জানা যায় প্রতিদিন ৩-৫ বার সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুললে তা প্রায় ২৯ শতাংশ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৩. কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বাড়িয়ে দেয়:
হৃৎযন্ত্রে এবং শিরা উপশিরায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকাকেই কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বলে থাকে। এই ফিটনেস বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার অভ্যাস কার্ডিওভাসকুলার বিভিন্ন রোগ প্রতিহত করে এবং ফিটনেস বাড়িয়ে তোলে।
৪. পেশী শক্তিশালী করে তোলে:
সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার কাজ অনেকটা পরিশ্রমের। এর ফলে পেশীতে টান লাগে এবং পেশীর দৃঢ়তা বাড়িয়ে তোলে। ফলে পেশী বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
৫. অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা কমিয়ে দেয়:
শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম করা। আর এই ব্যায়ামের কাজটিও সম্পন্ন হয় যদি না আপনি প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করেন। এর ফলে আপনার শরীরে অন্যান্য অসুখ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *