কাউনিয়ায় প্রাইভেট, কোচিং ও গাইড-নোটের কাছে অভিভাবকরা নিরুপায়: জড়িত কারা?
দেখা যায়, সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উপজেলার আনাচে কানাছে যত্রতত্র ব্যাঙেরগড়ে উঠা বিভিন্ন নামের প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার এবং নিষিদ্ধ বইয়ের প্রকাশনী ও লাইব্রেরীর মালিকরা লেখাপড়ার চর্চাকে ব্যবসার ফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। আক্ষেপ করে তারা জানান, প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টারগুলো এমনি জিনিস যেখানে ঢোকার রাস্তা আছে, কিন্তু বেরুবার পথ নেই। ফলে দেখা গেছে, অনেক টাকা গচ্ছা দিয়েও সবশেষে যা ছিল তাই আছে ঐ সব শিক্ষার্থী। উপজেলার সচেতন মহল মনেকরে যে শিক্ষার্থী মেধাবী, সে বাসায় লেখাপড়া করে অখ্যাত স্কুল থেকেই স্ট্যান্ড করে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য এগুলোর প্রয়োজন পড়ে না। বর্তমান সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের দোহাই দিয়ে প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টারের মালিকরা তাদের অর্থনৈতিক ফায়দা হাছিলের জন্য কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছে যে, লেখাপড়া বর্তমানে কঠিন হয়ে গেছে এজন্য প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়া অতি আবশ্যক। পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঐসব গাইড নোট সহায়িকা ক্রয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করে, এমনকি বাধ্য করে বলে অভিযোগ আছে।
শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে শিক্ষকরা সেই জাতির কি? ভাবতে অবাক লাগে সেই শিক্ষক যখন তার আদর্শ থেকে সরে এসে প্রাইভেট, কোচিং ব্যবসা ও নিষিদ্ধ বইয়ের সরবরাহ কাজে অসাধু প্রকাশনীর অর্থ লোভে প্রভাবিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করে। তখন শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে কতটা জ্ঞানহীন তা আর বলার অবকাশ রাখেনা। অথচ সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর প্রাক কালে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রাইভেট, কোচিং ও গাইড-নোট সব বিলিন হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুম গুলোই হবে সৃজনশীল শিক্ষা বিকাশের উর্বর ক্ষেত্র।