কালকিনিতে ভাইয়ের আঘাতে ভাইয়ের মৃত্যু
আশরাফুর রহমান, কালকিনি(মাদারীপুর) প্রতিনিধি: কালকিনি উপজেলার রাজদী গ্রামে ওহাব হাওলাদার (৫৮) নামে এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে তার বড় ভাই শামছুল হাওলাদার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রাত সাড়ে আটটার দিকে বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত ওহাব হাওলাদার ওই গ্রামের মৃত মোসলেম হাওলাদারের পুত্র। দীর্ঘদিন থেকে দুই ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম বাদি হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শামছুল হাওলাদারকে প্রধান আসামী ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগম,ছেলে সোহেল হাওলাদার,লিটন হাওলাদার,মেয়ে ডলি বেগম ও শেলি বেগমকে আসামী করা হয়েছে।
কালকিনি থানা সূত্র জানায়,কালকিনি উপজেলার রাজদী গ্রামের মৃত মোসলেম হাওলাদারের পুত্র ওহাব হাওলাদার ও শামছুল হাওলাদারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার তাদের জমির সীমানা নির্ধারনের কাজ হচ্ছিল। বাড়ির গাছ কাটা নিয়ে তখন দুই ভায়ের পরিবারের মধ্যে ঝগরা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে শামছুল হাওলাদার ছোট ভাই ওহাব হাওলাদারকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশার শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মযনা তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পরই শামছুল হাওলাদার তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম থেকে চলে গেছেন।
ওহাব হাওলাদারের স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন,আমার ভাশুর ও তার ছেলেরা আমার স্বামীর অংশের জমি জোর করে দখল করেছে। বিষয়টি আমারা প্রতিবাদ করলেই আমাদের মারধর করা হত। কিন্তু তারা আমার স্বামীকে এভাবে হত্যা করে ফেলবে তা বুঝতে পারিনি। আমি হত্যাকারিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
কালকিনি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.ইদ্রিস আলী বলেন,এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শামছুল ও তার স্ত্রী সন্তানদের আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে